রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দল অর্থাৎ কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য সমালোচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানালেন কংগ্রেস নেতা ডঃ উদিত রাজ। তিনি একটি টুইটে বলেন, 'কোনও দেশেরই দ্রৌপদী মুর্মুজির মত রাষ্ট্রপতি থাকা উচিত নয়। চামচাগিরিরও একটা সীমা আছে। বলা হচ্ছে, গুজরাটের ৭০% মানুষ লবণ খায়। নিজে নুন খেয়ে জীবন যাপন করলে বুঝবেন।'
উদিত রাজের এই মন্তব্যের পর চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও কংগ্রেস নেতা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুমন্তব্য করলেন। এর আগে সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে সম্বোধন করেছিলেন। সেই জন্য সংসদের অন্যান্য সদস্যরা তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন। যার জেরে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়।
আরও পড়ুন- মালবাজারে দুর্ঘটনা: নদীখাতে বোল্ডার ফেলাতেই বিপত্তি? প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
উদিত রাজের এই মন্তব্য সামনে আসার পর পালটা প্রতিক্রিয়ায় তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, 'কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ রাষ্ট্রপতি মুর্মুর জন্য যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন তা উদ্বেগজনক, দুর্ভাগ্যজনক। তাঁরা যে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলেন, এটা কিন্তু প্রথম নয়। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পর্কে কুমন্তব্য করেছেন। এটা কংগ্রেসের আদিবাসী বিরোধী মানসিকতার প্রতিফলন।' ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেনও (NCW) রাষ্ট্রপতি মুর্মু সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যের জন্য কংগ্রেস নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে এবং তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছে।
তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন উদিত রাজ। তিনি টুইট করেছেন, 'দ্রৌপদী মুর্মুজি সম্পর্কে আমার বক্তব্য একান্তই নিজস্ব। এর সঙ্গে দলগত ভাবে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আদিবাসী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন এবং প্রচার করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে তিনি এখন আর আদিবাসী নন। আমার মন কাঁদে যখন দেখি এসসি বা এসটিদের কেউ সমাজের উচ্চপদে পৌঁছন। তখন তাঁরা নিজের সম্প্রদায়কে ছেড়ে দেয় এবং সেই ব্যাপারে চুপচাপ হয়ে যান।'
Read full story in English