কংগ্রেসে ফের বড়সড় ফাটলের ইঙ্গিত। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ আজ যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। দিল্লিতে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসের এই নেতা। ২০১৯ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একাধিকবার তাঁর মতানৈক্য তৈরি হয়। শেষমেশ সেই মতানৈক্যের জেরেই পাকাপাকিভাবে এবার হাত ছেড়ে জোড়াফুলে যোগ দেওয়ার সম্ভবানা প্রবল কীর্তির। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের এই তারকার পাশাপাশি এদিন মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে আরও বেশ কয়েকজনের তৃণমূল যোগের সম্ভাবনা প্রবল।
একুশের ভোটে বাংলায় বিপুল সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থান বেশ পোক্ত করেছে। এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদী-বিরোধী শক্তির প্রধান মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলকেই এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে মানছেন পোড়খাওয়া অনেক নেতাই।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা বাড়তেই সুস্মিতা দেব, নাফিসা আলি, সকেত গোখেলরা একে একে জোড়াফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও তৃণমূলে।
এবার পালা কীর্তির? সম্ভাবনা প্রবল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিকেলেই মমতা-অভিষেকের হাত ধরে কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। ক্রিকেট থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন কীর্তি আজাদ। বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছেন তিনি। তবে তাল কাটে ঠিক তার পরের বছরেই।
আরও পড়ুন- পুরভোটের নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা? ত্রিপুরা সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
২০১৪ সলের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন কীর্তি। তবে ২০১৫ সালে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে নিশানা করে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন কীর্তি। জেলা ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনেরও বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ফল-স্বরূপ বিজেপি তাঁকে সাসপেন্ড করে।
বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর ২০১৯ সালে তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কীর্তির একাধিক বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। সেই কারণেই দলের সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বেড়েই চলছিল। একটি সূত্র জানাচ্ছে, কীর্তি আজাদ নিজেও এই মুহূর্তে মোদী-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিরোধিতায় প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এগিয়ে রাখছেন। সেই কারণেই তিনি তৃণমূল যোগের ব্যাপারে মনস্থ করে ফেলেছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন