New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/Untitled-design-2021-07-13T163628.952.jpg)
চিদাম্বরম ফাইল ছবি।
Fuel Price Hike: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘জিএসটি এবং আমদানি শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত করা হোক মুদ্রাস্ফীতি।‘
চিদাম্বরম ফাইল ছবি।
Fuel Price Hike: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। জ্বালানি-সহ রান্নার গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। এই মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে সর হবে কংগ্রেস। মঙ্গলবার মোদী সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে অবস্থান করেন তিনি। তাঁর খোঁচা, ‘কেন্দ্র এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে, যেন মূল্যবৃদ্ধি মিথ্যা উদ্বেগ। পাল্লা দিয়ে কমছে মানুষের আয় এবং বাড়ছে বেকারত্ব। এই আবহে মূল্যবৃদ্ধি মানুষের কোমর ভেঙে দিচ্ছে। আর মানুষের এই দুর্দশার পিছনে মোদী সরকার দায়ী।‘
পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সরব প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘জিএসটি এবং আমদানি শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত করা হোক মুদ্রাস্ফীতি।‘ বিরোধীদের শত আপত্তি সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম। এমন ভাবেই সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর উপহাস, ‘মুম্বাই-দিল্লিতে পেট্রোল ১০০ ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে সিলিন্ডারপিছু এলপিজি ৮৩৫ আর পাটনায় ৯৩৩ টাকা। বিশ্বব্যাপী এখন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলার। তাতেও এই মুল্যবৃদ্ধি। বিশ্বে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম ১২৫ ডলার ছিল, তখন ইউপিএ সরকার ৬৫ টাকায় পেট্রোল দিত আর ডিজেল ছিল ৪৪ টাকা।‘
এদিকে, সামান্য স্বস্তি দিয়ে কমল দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। চলতি ভাষায় বলে গ্রাহক মূল্য সূচক। মে মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বা গ্রাহক মূল্য সূচক ছিল ৬.৩০%, গত মাসে সেই সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৬.২৬%। মে মাসের দেশের শিল্পোৎপাদন সূচক ২৯.৩%। দুটি পৃথক পরিসংখ্যান দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রাহক মূল্য সূচকের সর্বোচ্চ সীমা ধরেছিল ৬%। পরপর দুই মাস সেই সীমা পেরিয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। এর আগে টানা পাঁচ বাড় গ্রাহক মূল্য সূচক ৬%-এর নীচে ছিল। সম্প্রতি সরকার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে গ্রাহক মূল্য সূচকের সর্বোচ্চ সীমা ৪% এবং সর্বনিম্ন সীমা ২%-এর মধ্যে বেঁধে রাখতে। ২০২৬-এ শেষ হওয়া পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেনে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল।
আরবিআইয়ের দ্বি-মাসিক আর্থিকনীতির অংশ গ্রাহক মুল্যসূচক নির্ণয়। গত মাসে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে ৪%। দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে দেশীয় অর্থনীতিকে সুরাহা দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন