আবারও রাহুল গান্ধীর নিশানায় নরেন্দ্র মোদী। এবার জ্বালানি তেলের দাম কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সওয়ালের পাল্টা টিপ্পনি কংগ্রেস নেতার। জ্বালানি তেলের লাগাতার দাম-বৃদ্ধির দায় বুধবারই অবিজেপি একাধিক রাজ্যের ঘাড়ে ঠেলেছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সেই চেষ্টাকেই এবার নিশানা রাহুল গান্ধীর। ''সব জ্বালানি করের ৬৮% কেন্দ্র নেয়। এরপরেও দায়িত্ব এড়ান প্রধানমন্ত্রী।'' টুইটে লিখেছেন কংগ্রেস নেতা।
জ্বালানি তেলের লাগামছাড়া দাম-বৃদ্ধি দেশজুড়ে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব বাজারদরেও। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ফি দিন বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসই নয়, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব গণ-পরিবহণেও। এক ধাক্কায় গাড়িাভাড়া বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে। সব মিলিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জেরে দিশেহারা সধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শে আগেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পেট্রোল-ডিজেলে কর কমিয়েছে। তবে এখনও সেই পথে হাঁটেনি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি। বুধবার এই রাজ্যগুলির নাম করে পেট্রোল-ডিজেলে কর ছাড় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়টি নিয়েই এবার মোদীকে পাল্টা নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
মোদীকে বিঁধে এদিন টুইটে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ''জ্বালানির চড়া দাম - দোষ রাজ্যগুলির। কয়লার ঘাটতি- দায়িত্ব রাজ্যের। অক্সিজেনের ঘাটতি- রাজ্যেরই দোষ। সব জ্বালানি করের ৬৮% কেন্দ্র নেয়। এরপরেও দায়িত্ব এড়ান প্রধানমন্ত্রী। মোদীর ফেডারেলিজম সহযোগিতামূলক নয়। জবরদস্তিমূলক।''
উল্লেখ্য, পেট্রোল-ডিজেলে মোদীর কর ছাড়ের আহ্বান নিয়ে গতকালই সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি জ্বালানি তেলে কর ছাড় না দেওয়া নিয়ে বাংলার নামও করেছিলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাল্টা মোদী তথা কেন্দ্রকেই নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছিলেন, 'কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ৯৭ হাজার কোটি টাকা। উনি আমাকে ৫০ হাজার কোটি টাকা দিন। পরের দিন পেট্রোপণ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড় দিয়ে দেব। আপনার রাজ্য ৫ হাজার দিয়েছে, আমি ১০ হাজার কোটি দেব।'