জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ার সম্প্রতি গৌতম আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের সঙ্গে একমঞ্চে শামিল হননি। আদানি ইস্যুতে বিরোধীরা যখন সংসদ অচল করার চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনও সেই চেষ্টায় শামিল হননি পাওয়ার। এরপরই এনসিপির শরিকরা বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেছেন যে পাওয়ারের সঙ্গে তাঁদের কোনও বিরোধ নেই। সব ঠিক আছে। তবে, পাওয়ার যা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।
এনডিটিভিতে শরদ পাওয়ারের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। এই এনডিটিভির মালিক আবার আদানি গোষ্ঠী। পাওয়ারের সাক্ষাৎকার সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মহারাষ্ট্রে এনসিপির শরিক কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, আদানি সম্পর্কে এটা পাওয়ারের ব্যক্তিগত মতামত। আর, এনসিপিএর অন্যতম শরিক শিবসেনার (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, আদানির ব্যাপারে পাওয়ারের আলাদা মতামত থাকতেই পারে। তাতে মহারাষ্ট্রের বিরোধী ঐক্য প্রভাবিত হবে না-বলেই জানিয়েছেন রাউত।
আদানির বিরুদ্ধে প্রচারে বিরোধীদের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক আছে। প্রচারে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী হিন্দিতে টুইট করেছেন, 'তারা সত্যকে আড়াল করতে চায়। তাই তারা প্রতিদিন বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন একটাই, আদানির বেনামি কোম্পানির ২০,০০০ কোটি টাকা কার?'
আরও পড়ুন- ভারতীয় স্কুল ব্যবস্থার জন্য প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি কী কী?
শুধু আদানির সঙ্গে মোদীকে জড়িয়ে টুইটই নয়। আদানির নামের প্রতিটি অক্ষর রাহুল তাঁর টুইটে বিশেষ অর্থবোধক করে তুলতে চেয়েছেন। যেমন, গুলাম থেকে তিনি এ অক্ষরটি নিয়েছেন। সিন্ধিয়া থেকে নিয়েছেন ডি অক্ষর। কিরণ রেড্ডি থেকে নিয়েছে এ অক্ষর। হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে নিয়েছেন এন। আর, অনিল অ্যান্টনি থেকে নিয়েছেন আই অক্ষর। যে পাঁচ জনের নাম থেকে রাহুল আদানির বানান তৈরির অক্ষর সংগ্রহ করেছেন, এই পাঁচ জনই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। তাঁরা হয় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অথবা, বিজেপি সম্পর্কে ভালো কথা বলেছেন।