মণিপুরে চলমান হিংসার মধ্যেই রাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) টুইট করে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী আগামী ২৯-৩০ জুন মণিপুর সফরে যাবেন। সফরকালে তিনি ত্রাণ শিবির গুলি পরিদর্শন করবেন এবং ইম্ফল ও চুরাচাঁদপুরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ভেনুগোপাল আরও বলেন, ২ মাস ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এই সমস্যার অবিলম্বে একটি সমাধান দরকার যাতে রাজ্যে শান্তি ফিরে আসে। উত্তর-পূর্ব রাজ্যে চলমান হিংসার ঘটনার নিয়ে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এর আগেই নিশানা করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মণিপুরের হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব!
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোমবার বলেছেন যে সমগ্র দেশ মণিপুরের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি শোনার জন্য অপেক্ষা করছে এবং তিনি আরও বলেন, মোদীর প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি মণিপুরে সমস্ত দলের সঙ্গে একটি সুস্থ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও আহ্বান জানান।
মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে বলেছেন, “গত ৫৫ দিন ধরে মণিপুর নিয়ে একটি কথাও বলেননি মোদীজি। মোদীজি যদি সত্যিই মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী হন, তাহলে সবার আগে আপনার মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন। সব দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন এবং রাজনৈতিক ভাবেই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করুন”।
এর আগে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে অভিযোগ করেছিলেন যে একদিকে উত্তর-পূর্ব রাজ্য জ্বলছে অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী নীরব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিছুই করছেন না। কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন যে এন বীরেন সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার আর কোন মানে নেই।
উল্লেখ্য, মে মাসের শুরুতে মণিপুরে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে যে জাতিগত হিংসা শুরু হয়। হিংসার ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন হাজারে হাজারে মানুষ। মণিপুরে তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে ৩ মে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি উপজাতি সংহতি মিছিলের আয়োজন করার পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। হিংসার ঘটনায় রাজ্য সরকারের অনেক মন্ত্রীর বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।