অবসান ঘটল যাবতীয় জল্পনা-কল্পনার। তেলেঙ্গানার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছে জানিয়ে দিল কংগ্রেস। সাম্প্রতিকতম পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একমাত্র তেলেঙ্গানায় জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। হারিয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের পর থেকে দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা কেসিআরের দলকে। গোটা নির্বাচনে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রেভান্থ রেড্ডি। তাঁর সেই সাফল্যের পুরস্কারও এবার দিতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। রেভান্থের নামই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দেন যে তেলেঙ্গানায় এ রেভান্থ রেড্ডিই কংগ্রেস বিধায়কদলের নেতা হবেন। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যায়, রেড্ডিই দক্ষিণের অন্যতম রাজ্যে কংগ্রেসের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তেলেঙ্গায় ৬৪টি আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সেই জয়ের একদিন পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। কারণ, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদে রেভান্থের নাম নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য ছিল না। রেভান্থকে ২০২১ সালের জুনে তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি একজন বিরোধী নেতা হিসেবে নিজের শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পিছনেও তাঁর কৃতিত্ব রয়েছে বলেই মনে করছে দলের হাইকমান্ড।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রেভান্থের নাম জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস সভাপতি তেলেঙ্গানা আইনসভা দলের নতুন নেতা হিসেবে রেভান্থ রেড্ডির নামে সিলমোহর দিয়েছেন।' আগামী ৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন। অবশ্য, এর মধ্যেও ফুটে উঠল অশান্তির চিহ্ন। মঙ্গলবারই তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রেভান্থ রেড্ডির সমর্থকরা হায়দরাবাদের এলা হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এই হোটেলেই উঠেছিলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কংগ্রেস সমর্থকরা দক্ষিণের এই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেভান্থ রেড্ডির নিয়োগের দাবি তোলেন।
আরও পড়ুন- মাত্র চার বছরের দল, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মিজোরামে ক্ষমতায়, কীভাবে ঘটল পালাবদল?
এর আগে দক্ষিণের অপর রাজ্য কর্ণাটকে কংগ্রেস জেতার পর, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তা নিয়ে অশান্তির জেরে, ফল ঘোষণার বেশ কিছুদিন পরে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে কংগ্রেস। শিবকুমারকে করা হয় উপমুখ্যমন্ত্রী।