রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ বাতিল হওয়ার জেরে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমাণ্ড। মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুরাটের আদালত। এই মামলায় তিনি অবশ্য জামিন পেয়েছিলেন। এরপর লোকসভা সচিবালয় তাকে সংসদ সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে।
গতকালই বাতিল হয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ সদস্যপদ। সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন এবং তারপর ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল গান্ধী? থেকে গিয়েছে এক বিরাট প্রশ্ন। তাহলে কী রাহুলের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষের পথে? যদিও কংগ্রেসের তরফে আইনি ও রাজনৈতিক ভাবে সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করার কথা বারে বারেই বলা হয়েছে। এখন রাহুলের সামনে বিকল্প কী? শুধু সহানুভূতি আদায় নয় সেই সঙ্গে পদ্মশিবিরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নির্বাচনে লড়াইও রাহুলের অন্যতম লক্ষ্য।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা এবং কেরালার ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। লোকসভা সচিবালয় এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবার রাহুলকে ‘মোদী উপাধি’ সম্পর্কিত মানহানির মামলায় সুরাটের একটি আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়।
লোকসভা সচিবালয় এই বিষয়ে সাত লাইনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে কেরালার ওয়েনাডের লোকসভা সদস্য রাহুল গান্ধী, সুরাটের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই অযোগ্যতা তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন থেকে অর্থাৎ ২৩ মার্চ, ২০২৩ থেকে প্রযোজ্য হবে। সংবিধানের ১০২ (১) (ই) এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১ এর 8 ধারা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ রাহুল গান্ধী আজ দুপুর ১ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন যেখানে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট উপস্থিত থাকবেন।
কংগ্রেসে সূত্রে খবর সোমবার থেকে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামবে দল। দলের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ একথা বলেন। ওয়ানাডের জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি এনডি আপ্পাচান বলেছেন, প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ওয়ানাড জেলা কংগ্রেস কমিটি আজ 'কালো দিবস' পালন করবে।
কংগ্রেসের তরফে রাহুলের সাংসদপদ বাতিলের সিদ্ধান্তকে "ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন" বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পাশাপাশি বলা হয়েছে ভবিষ্যতে তারা এই যুদ্ধ "আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে" মোকাবিলা করবে। পাশপাশি পদক্ষেপটিকে "রাজনৈতিক প্রতিহিংসা" বলেও তুলে ধরেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
যদিও কংগ্রেস সাংসদের যদিও কংগ্রেস সাংসদের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণাকে বৈধ বলেছে বিজেপি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন যে “সিদ্ধান্তটি একটি আইনি সিদ্ধান্ত, এর প্রতিবাদের মাধ্যমে কংগ্রেস বিচার বিভাগের দিকে সরাসরি আঙুল তুলছে”।