লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এই ঘটনার পর থেকেই দলের ভেতর নতুন করে চাড়া দিয়ে ওঠে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। কংগ্রেসের নবীন নেতারা রাহুলকেই চেয়েছিলেন দলের সভাপতি হিসেবে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে কার্যত অনড় রাহুল গান্ধী। বুধবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে ফের একবার একথা জানিয়েছেন তিনি। দলের অনেক অপেক্ষাকৃত নবীন নেতাও রাহুলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি দীপক বাবারিয়া এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "আজ দলের তরুণ তুর্কীদের একটা বৈঠক রয়েছে। আমরা মনে করি দলের নেতৃত্বে সামনের সারিতে যারা রয়েছেন, প্রত্যেকের হারের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দেওয়া উচিত"। রাহুল গান্ধী নিজেও সপ্তাহের শুরুতে এক বৈঠকে এমনই বলেছেন বলে জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ হাতছাড়া হওয়ার কারণ নেহরু, বললেন অমিত শাহ
দলের এক নবীন নেতা, গোয়ার কংগ্রেস সভাপতি চোদনকর বলেছেন, "রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে আমরাও ইস্তফা দিচ্ছি"।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সচিব অনিল কুমার চৌধুরী, রাজেশ ধারমানি, বীরেন্দ্র সিং রাঠোর, দিল্লির কার্যনির্বাহী সভাপতি রাজেশ লিলোথিয়া, তেলেঙ্গানার পোন্নাম প্রভাকর, হরিয়ানা মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সুমিত্রা চৌহান, মহিলা কংগ্রেস সাধারণ সচিব নেত্তা ডিসুজারা গণইস্তফা দেবেন।
আরও পড়ুন, পদত্যাগে অনড় রাহুল, জানিয়ে দিলেন সংসদীয় দলকে
বৈঠকের আয়োজকরা জানিয়েছেন ১২০ জন কংগ্রেস নেতা পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন দলের সমস্ত পদাধিকারী তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন, তা না হলে তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে পদত্যাগ করতে বলা হবে। এরা মনে করছেন রাহুল গান্ধী বিকল্পহীন।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেছেন, "রাহুল ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি মনে করি কংগ্রেসের হার ব্যক্তিগত ভাবে আমারু হার। বাকিদের কথা আমি বলতে পারব না"।
Read the full story in English