সোমেন মিত্রের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে নারাজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধান ভবন সূত্রের খবর, প্রবীন ওই কংগ্রেস নেতাকে আপাতত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড।
লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পরে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবীন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ নিজেদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। মঙ্গলবার সেই পথেই হেঁটে পদত্যাগ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ সোমেনকে জানিয়েছেন, তাঁর পদত্যাগপত্র দল গ্রহণ করছে না। আপাতত তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।
সদস্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের ফলাফল হতাশাজনক বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। গত নির্বাচনে চারটি আসনে জিতলেও এবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে দুটিতে। এরপর বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরিকে লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা করা হয়। বিধান ভবন সূত্রের খবর, অধীর প্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সোমেনের বিপরীত মেরুর বাসিন্দা হিসাবেই পরিচিত।
রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা জানান, সোমবার গৌরবের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন সোমেন। সেখানেই পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন গৌরব। এরপরদিন এদিন সোমেন ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ না করে আপাতত প্রদেশ কংগ্রেসে বড় রদবদলের জল্পনায় ইতি টানার চেষ্টা করলেন তিনি।