নরেন্দ্র মোদীকে ‘ভয়ঙ্কর শত্রু’ বিশেষণে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, ‘ওর চেয়েও বড় শত্রুকে পরাজিত করার ইতিহাস রয়েছে।‘ তামিলনাড়ুর একটি জনসভায় এভাষাতেই সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে ‘মোদী’ নামক শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব। এদিন এই দাবিও করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা ভোট। তার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৬ এপ্রিল এক দফাতেই ভোট হবে দক্ষিণের এই রাজ্যে। ভোটগণনা বাকি ৪ রাজ্যের সঙ্গে ২ মে। দক্ষিণের সেই তামিলনাড়ু বলা বাহুল্য ‘আম্মার’ খাসতালুকে ভোট প্রচারে যান রাহুল।
এদিন তিরুনেলভেলির এক আলোচনাচক্রে রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিজেপির মতো শক্তিকে সত্যিই হারানো সম্ভব, এটা কি তিনি বিশ্বাস করেন?’ রাহুলের জবাব, ‘আমরা জানি, একজন ভয়ঙ্কর শত্রু(নরেন্দ্র মোদী)-র মোকাবিলা করছি। এমন এক শত্রুর সঙ্গে লড়ছি, যারা দমন-পীড়ন করে শেষ করে দিচ্ছে বিরোধীদের। কিন্তু আমরা আগেও এমন লড়াই করেছি। এই নতুন শত্রুর চেয়েও চেয়ে বড় শত্রুকে হারিয়েছি।’
'বড় শত্রু' বলতে ইংরেজদের কথা বলতে চেয়েছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। তামিলনাড়ু কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। তিনি সেই আলোচনাচক্রে বোঝাতে চেয়েছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা। সেই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাহুলের বক্তব্য, ‘ইংরেজ শাসনের তুলনায় নরেন্দ্র মোদী কে? কেউ না। এই দেশের মানুষ ইংরেজদের তাড়িয়েছিল। একই ভাবে আমরাও মোদীকে নাগপুরে ফেরত পাঠিয়ে দেব।’
তবে এদিন পুদুচেরির সভাতে নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন অমিত শাহ। ১৫০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে কাটমানি গান্ধী পরিবারে যেত। এভাবেই পুদুচেরিতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রকল্প পুদুচেরিতে লাগু করা নিয়ে ক্ষুদ্র রাজনীতি করেছে প্রাক্তন সরকার। এভাবেও তোপ দাগেন অমিত শাহ।
সুর চড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘জনতার চেয়ে কাটমানি দিয়ে গান্ধী পরিবারকে সেবা করতে বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন নারায়ণস্বামী।’ তাঁর খোঁচা, ‘পরিবারতন্ত্রের জন্য বহু পুরনো নেতা-কর্মী কংগ্রেস ছাড়ছেন। ধ্বংসের পথে যাচ্ছে কংগ্রেস।’ এদিন তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিয়েছেন। সম্প্রতি কেরল সফরে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন, ‘মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে কেন্দ্রে কোনও মৎস্য মন্ত্রক নেই।’ সেই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, ‘দু’বছর আগে নরেন্দ্র মোদীজি মৎস্য মন্ত্রক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আপনি জানতেন না, কারণ তখন আপনি ছুটিতে ছিলেন।’