/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/congress-flag-759.jpg)
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে হাজারেরও বেশি মুসলিম সদস্য তৃণমূল এবং বিজেপি থেকে বেরিয়ে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। সেই সূত্রেই কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন, "এর থেকেই প্রমাণিত হয়, কংগ্রেসের শক্তি দিন দিন বাড়ছে বাংলায়।"
তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু শাখার উপ সভাপতি শাকিল আনসারি এই হাজারের মধ্যেই একজন। বৃহস্পতিবার তিনি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। আনসারি জানিয়েছেন, "তৃণমূলের জন্য মুসলিমদের মধ্যে কোনো সম্মান নেই। এখনও যারা দলে রয়ে গেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগত লাভের আশায় রয়েছেন। ন্যূনতম আত্মসম্মান থাকলে কেউ তৃণমূলে থাকতে পারেন না"।
আরও পড়ুন: “৮০ শতাংশ খরচ বহন করে রাজ্য, আর পুরো কৃতিত্বটা নেয় কেন্দ্র”
লোকসভা যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট বাঁধা নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে আনসারি বলেছেন, "আমরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। তৃণমূল সেই কারণে আমাদের হুমকিও দিয়েছে বারবার। এই অবস্থায় দু'দলের মধ্যে জোট হলে আমরা কোথায় যাব জানি না।"
তবে লোকসভার আগে জোটের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারলেন না সোমেন মিত্র নিজেও। বললেন, "আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে চাই কংগ্রেস একাই লড়ুক। আমার ইচ্ছের কথা রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছি। কিন্তু এটাও সবাইকে বুঝতে হবে, আমরা একটা সর্বভারতীয় দলের রাজ্য শাখা। ওপর মহলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমাদেরকে তা মানতেই হবে। তবে নাম না করে বলতে পারি, অনেকেই আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, খুব শিগগির তাঁদের দলে নেওয়া হবে।"
শাকিল আনসারি এবং অন্যান্য মুসলিম সদস্যদের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি বললেন, "আমি মনেও করতে পারছি না, কে আনসারি। যাঁরা আদৌ কেউ নন, তাঁদের অযথা গুরুত্ব দেওয়ার মানে হয় না। এঁরা এক দল থেকে আরেক দল ঘুরে ঘুরে বেড়ান। তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। বাংলার মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।"