সাড়ে আট বছর আগে তাঁর সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, চায়ে পে চর্চা। ভারতে সকাল হলেই চা খাওয়ার রেওয়াজ আছে ঘরে ঘরে। সেই চা-কেই হাতিয়ার করে প্রচারে তুফান তুলেছিল বিজেপি। বেশ কয়েকবারের মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী এক লহমায় গোটা দেশের কাছে তুলে ধরেছিল চা বিক্রেতা হিসেবে। দাবি করেছিল, ছোটবেলায় নাকি মোদী চা বেচতেন।
তারপর, সেই পাঁচ বছর পার করে দ্বিতীয়বারের জন্যেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মোদী। ফের আর একটা লোকসভা ভোট আসতে দেড় বছরও হাতে নেই। কিন্তু, তাঁর সেই চায়ে পে চর্চা এখনও মানুষের মনে। এবার সেই চর্চা শব্দটিকেই ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শনিবার কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, 'চিন নিয়ে চর্চা' কখন হবে?
সম্প্রতি, চিনের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সীমানা লঙ্ঘন ও সীমান্তে হানাদারি নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ। বিরোধীদের অভিযোগ, এনিয়ে বারবার আলোচনা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে নানাভাবে। এই অভিযোগের মধ্যেই আবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, সীমান্তে চিন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই হানাদারি তারই এক সামান্য নমুনা মাত্র।
ভারত সীমান্তে চিন বিপুল অস্ত্র এবং সেনা মোতায়েন করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, চিনের সেনার হামলায় ভারতের ২০ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভারতের বিপুল পরিমাণ এলাকা চিন দখল করে ফেলেছে। সব জেনেও কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে বসে আছে। আর, বিষয়টি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপেই কেল্লাফতে! অফুরান গতি পাবে অর্থনীতি, মিলবে রেহাই, বুক বাঁধছে নীল-সাদার দেশ
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এই অভিযোগের পরই প্রতিআক্রমণের পথে হেঁটেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র অভিযোগ করেছিলেন, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দেশের বদনাম করেছে। পাশাপাশি এই সব মন্তব্যে ভারতীয় সেনার মনোবলও ধাক্কা খেয়েছে। এতেই থামেনি বিজেপি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়েছিল, খাড়গে যদি রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত সভাপতি না-হন, তবে যেন রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করেন।
এবার পালটা দিল কংগ্রেস। খাড়গে টুইট করেছেন, 'চিন ডোকলামে জামফেরি রিজ পর্যন্ত নির্মাণকাজ চালিয়েছে। যা কৌশলগত ভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর দরজা শিলিগুড়ি করিডরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক! নরেন্দ্র মোদীজি, দেশ কখন চায়না পে চর্চা করবে?'
Read full story in English