জোটসঙ্গী সিপিএম ছেড়েছিল ১৩ আসন। তার তোয়াক্কা করল না কংগ্রেস। মনোনয়ন জমার চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার দু'দিন আগে ত্রিপুরায় ১৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন সুদীপ রায়বর্মনরা। তাই কংগ্রেসের ঘোষিত অতিরিক্ত চার আসনে কী হবে, তা নিয়ে ভোটের আগে ত্রিপুরায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা। বামেরা আগেই মোট ৬০ আসনের মধ্যে ৪৭টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বাম ও কংগ্রেস। তারপরও, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে কাস্তে-হাতুড়ি ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত।
এই পরিস্থিতিতে যে পাঁচ আসন জট তৈরি হয়েছে, সেগুলো হল- বড়জলা, মজলিসপুর, বাধারঘাট ও রাধাকিশোরপুর এবং পাবিয়াচেররা। এই পাঁচ কেন্দ্র বাম এবং কংগ্রেস, জোটসঙ্গী দুই শিবিরেই প্রার্থীতালিকায় রয়েছে। বামেদের তালিকায় পেচারথাল আসনটি কংগ্রেসের জন্য ছাড়া ছিল। কিন্তু, সেই আসনে আবার প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ৫৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু, একটাতেও জিততে পারেনি। বর্তমানে তাদের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন এসেছেন বিজেপি থেকে। সুদীপ অবশ্য দলত্যাগের সময় তাঁর আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর বিজেপি থেকে কংগ্রেসে ফিরে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের পারদ বাড়াচ্ছে আমেরিকা’, রাশিয়ার পাশে থেকে ওয়াশিংটনকে হুমকি কিমের বোনের
এবছর কংগ্রেসের তালিকায় ২০১৮-র ৫৬ জনের তালিকা থেকে মাত্র ২ জনের নাম আছে। তার মধ্যে একজন হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা ও অপরজন প্রাক্তন বিধায়ক গোপালচন্দ্র রায়। আর সুদীপ রায়বর্মনকে তাঁর জেতা আসন আগরতলা থেকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। বিজেপি থেকে কংগ্রেসে ফিরেছেন আশিসকুমার সাহা। তিনি আগের মতই বরদোওয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তাহলে কি পাঁচ আসনে বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছে না? এই প্রশ্নে দায় পরস্পরের কোর্টে ফেলতে মরিয়া কংগ্রেস ও বামেরা। বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সিপিএম নেতা নারায়ণ কর জানিয়েছেন, আলোচনার সময় কংগ্রেস বেশি আসন চেয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছে। আর কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের উচ্চনেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই ঘোষণা করা হয়েছে প্রার্থীতালিকার।
Read full story in English