কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় শুক্রবার সর্বভারতীয় সংগঠনে বড় রদবদল করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সাধারণ সম্পাদক পদে বৃদ্ধতন্ত্রের ভার কমানো হয়েছে। গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খার্গে, অম্বিকা সোনি, মতিলাল ভোরা, লুইজিনো ফালেরিওর মতো বর্ষীয়াণ নেতাদের সরিয়ে তুলনায় নবীনদের জায়গা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সংগঠনকে পোক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বে নতুন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করেছেন সোনিয়া। এছাড়া দল পরিচালনার কাজে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ছয় সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন।
দলীয় নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানো ও পূর্ণ মেয়াদের নতুন সভাপতির দাবি জানিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসের ২৩ নেতা। যা ঘিরে কংগ্রেসে তোলপাড় হয়েছিল। সংগঠনে রদবদল করে পত্র প্রেকর নেতাদেরও বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এআইসিসি-র নতুন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, জীতেন্দ্র সিংহ এবং অজয় মাকেনকে।
দল পরিচালনার ছয় সদস্যের কমিটিতে আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনি, অম্বিকা সোনির মতো সোনিয়ার পুরনো আস্থাভাজনদের সঙ্গে জায়গা দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর দুই আস্থাভাজনকে। তাঁরা হলেন কে সি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। নতুন সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত এই কমিটি সনিয়াকে সাহায্য করবে।
আগামী দিনে সাংগঠনিক নির্বাচন ও সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে মধুসূদন মিস্ত্রির নেতৃত্বে দলের নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষও গঠন করেছেন সোনিয়া। এ ক্ষেত্রে রাহুলের সিলমোহর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন, রাজেশ মিশ্র, কষ্ণ গৌডা, এস জ্যোতিমানি, অরবিন্দ সিং লাভলি। যদিও লাভলি পত্র প্রেরকদের অন্যতম।
আজদকে হরিয়ানার দায়িত্ব থেকে সরানো হলেও এআইসিসি-তে রাখা হয়েছে। স্পেশাল ইনভাইটি করে জায়গা দেওয়া হয়েছে পি চিদাম্বরমকে। লোকসভার কংগ্রেস নেতাকে অধীর চৌধুরীকেও ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থায়ী ইনভাইটি পদ দেওয়া হয়েছে। জায়গা পেয়েছেন জয়রাম রমেশ, দ্বিগিজয় সিং, সলমন খুরশিদ, প্রমোদ তিওয়ারি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পহনকুমার বনসলস সংগঠনমের দায়িত্বে।
উল্লেখ্য, এত দিন গৌরব গগৈ ছিলেন বাংলার দায়িত্বে ছিলেন। এবার বিক্ষুব্ধদের মধ্যে তরুণ নেতা জিতিন প্রসাদকে পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন