বিদ্রোহ সামলে আরএসএসের কেন্দ্রভূমি নাগপুরের জেলা পরিষদ দখলে রাখল কংগ্রেস। জেলা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কংগ্রেসের মুক্তা কোকাদ্দে। সহ-সভাপতি হলেন কংগ্রেসের কুন্দা রাউত। বিজেপি দুটি পদেই প্রথমে প্রার্থী দিয়েছিল। সভাপতি পদে প্রার্থী করেছিল নীতা ওয়াকে। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী করেছিল কৈলাস বারবাতেকে। কিন্তু, জিততে পারবে না বুঝে প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে।
তার বদলে কংগ্রেস ও এনসিপির বিদ্রোহী নানা কাম্ভালে, প্রীতম কাওয়ারে ও মেঘা মানকরকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়। নাগপুর জেলা পরিষদের ৫৮ সদস্যের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কংগ্রেসের। জেলা পরিষদে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। পাশাপাশি তাদের জোট রয়েছে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, গোন্ডওয়ানা গণতান্ত্রিক পার্টি, শ্বেতকারি কামগার পক্ষের। এই জোটে আছেন নির্দলরাও।
এর আগে নাগপুর জেলা পরিষদ ছিল কংগ্রেসের দখলে। জেলা পরিষদের প্রধান ছিলেন রশমি বারভে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবার মুক্তা কোকাদ্দেকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। পেশায় শিক্ষক মুক্তা কোকাদ্দে পতনসাওঙ্গি অঞ্চল থেকে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নাগপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শ্যামদেব রাউতের মেয়ে কুন্দাকে এবার সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। কোকাদ্দে ৩৯টি, কুন্দা ৩৮টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
শুধু জেলা পরিষদই নয়। নাগপুরের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনেও কংগ্রেসের জয়জয়কার ঘটেছে। নাগপুর জেলার ১৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯টিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী। এএনসিপি তিনটি আর শিবসেনার শিণ্ডে গোষ্ঠী একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। শুধু সভাপতিই নয়। নাগপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদেও জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। আর, ৮টিতেই তাদের প্রার্থী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- দূষণমুক্ত বাজি কোনগুলো, কীভাবে আমরা সেগুলো চিনব?
তবে, কংগ্রেস নাগপুর পেলেও মহারাষ্ট্রজুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি এবং শিণ্ডের শিবসেনা। মোট ১০৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৩৯৭টি পঞ্চায়েতে। জোটশরিক একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনাও বেশ কিছু পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে। যা মিলিয়ে এই জোট মোট ৪৭৮টি পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে। এর পাশাপাশি, ২৩৫টি গ্রামে সরপঞ্চ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি।
পাশাপাশি বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ১৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি জিতেছে ১১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা জিতেছে ১২৮টি পঞ্চায়েত। পাশাপাশি, বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ৩০০ জন নির্দলও জয়ী হয়েছেন।
Read full story in English