দেশজুড়ে প্রচারে নামছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ১৫০ দিনের প্রচারে তিনি ১২ রাজ্যের ৩,৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন। প্রতিদিন ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন এই কংগ্রেস নেতা। সঙ্গে থাকবেন দলের ১৫০ জন বাছাই কর্মী। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, দেশজোড়া রাহুলের এই পদযাত্রা শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
দীর্ঘ এই পদযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন এই কংগ্রেস নেতা। এটা তাঁর দুই দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রচার হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর দল কংগ্রেসের কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় জনসংযোগ কর্মসূচিও হতে চলেছে এই পদযাত্রা।
বর্তমানে দেশে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ক্ষমতা তলানিতে। হাতে গোনা দু'-একটি রাজ্য বাদে কোনও রাজ্যেই কংগ্রেস তেমন একটা শক্তিশালী নয়। তার মধ্যে আবার হামেশাই দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন প্রবীণ নেতা। এমনকী, পদত্যাগও করে বসছেন ইচ্ছেমতো। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবার তথা দলের ইমেজ ফেরাতে রাহুলের এই দেশজোড়া প্রচারের সিদ্ধান্ত।
তবে, কংগ্রেসের মধ্যেই রাহুল গান্ধীকে নিয়ে একটা দ্বিধা রয়েছে। দলের অনেক নেতাই তাঁর প্রতি বীতশ্রদ্ধ। রাজনীতিতে নাকি রাহুলের খুব একটা আগ্রহ নেই। এমন কথাও বহু কংগ্রেস নেতা আড়ালে-আবডালে বলে থাকেন। এমন অভিযোগও উঠেছে। তাই রাহুলের এই 'লং মার্চ'কে নিয়ে দল বেশ সতর্ক।
আরও পড়ুন- দেশের স্বার্থেই বিনামূল্যে সুবিধা দানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিতর্ক দরকার, মত শীর্ষ আদালতের
তবে, রাহুলের এই দেশজোড়া পদযাত্রাকে অরাজনৈতিক রূপ দিতে আগ্রহী কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুশীল সমাজও এই যাত্রার অংশ হতে আগ্রহী। একথা মাথায় রেখে কংগ্রেস নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছেন যে এই দীর্ঘ যাত্রা কোনও দলীয় প্রতীক বা পতাকার অধীনে হবে না। সেই আশ্বাসের অঙ্গ হিসেবে কংগ্রেস যে লোগো প্রকাশ করেছে, তাতে দলের প্রতীক এমনকী রাহুলেরও কোনও ছবি নেই।
এই কর্মসূচির ট্যাগলাইন করা হয়েছে, 'মিলে কদম, জুড়ে ওয়াতন।' এই কর্মসূচির যে ব্রোশিওর কংগ্রেসের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে দল কেবল এই দীর্ঘ পদযাত্রা সংগঠিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রাহুল গান্ধী সক্রিয়ভাবে এই পদযাত্রার সঙ্গে জুড়ে থাকবেন।
Read full story in English