তেলেঙ্গানায় সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দাবি করুন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। অন্ধ্রপ্রদেশেও একই দাবি তুলুন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। দুই মুখ্যমন্ত্রী মিলে দাবি কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চান। এবার এমনই দাবি জানাল তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা।
তবে, কংগ্রেসের এই দাবির ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জগনমোহন ও চন্দ্রশেখর রাও। কারণ, এমনিতেই বিষয়টি বিচারাধীন। ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। আর, তার চাইতেও বড় কারণ, বিজেপির চাপ। চন্দ্রশেখর এই দাবি জানালে, ধর্মীয় মেরুকরণে বিশ্বাসী বিজেপিরই হিন্দুদের ভোট পেতে সুবিধা হবে। বিশেষ করে, সেই মেরুকরণ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর তেলেঙ্গানা মুক্তি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
একই হাল জগনমোহনেরও। তাই তিনিও মুসলিমদের জন্য চাকরি-শিক্ষায় সংরক্ষণের দাবি তুলতে পারছেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যেই যখন তেলেঙ্গানা ছিল, সেই সময় কংগ্রেসের সরকার। ক্ষমতায় জগনমোহনের বাবা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি। তিনিই মুসলিমদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় ৪ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- আপকে থামাতে গুজরাটে পাটকর জুজু দেখাচ্ছে বিজেপি, প্যাটেল-শাহরা একলাইনে দাগছেন তোপ
তবে, রাজশেখরের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দফায় দফায় মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। জগনমোহন কংগ্রেস ভেঙে ওয়াইএসআর কংগ্রেস তৈরি করেছেন। তাঁর দলই অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় কিন্তু, তিনিও তাঁরা বাবার নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল থাকতে চাইছেন না। তার একটা কারণ, তহবিল। অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নতির জন্য বিপুল অর্থ দরকার।
সেই অর্থ চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছেন জগনমোহন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মোদী সরকার সেভাবে অর্থ দেয়নি, বরং ঝোলাচ্ছে। তার মধ্যে আবার তিনি মুসলিমদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের দাবি তুললে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিরক্ত হতে পারেন। এটাই ভাবাচ্ছে জগনকে।
গত ২০১০ সালের ২৫ মার্চ, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টির শুনানির সময়, ৪ শতাংশ মুসলিম সংরক্ষণের বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়েছিল, পরবর্তী আদেশ না-দেওয়া পর্যন্ত BC-E গ্রুপের অধীনে তালিকাভুক্ত ১৪টি শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে। তারপর বর্তমানেও বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন।
Read full story in English