Uttar Pradesh: উত্তর প্রদেশ দখলে মরিয়া কংগ্রেস তৃণমূলস্তর থেকে প্রচারাভিযান শুরুর উদ্যাগ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, দলের নেতা-কর্মীরা ইউপি-র ৭৫টি জেলায় ৭৫ ঘণ্টা কাটাবেন। বিজেপি-বিরোধী প্রচারে ঝড় তুলতে এই সময়ের মধ্যে ৩০ হাজার গ্রামবাসীর দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
দলের সাধারণ সম্পাদক ধীরজ গুর্জর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই উদ্যোগ। আগামি ১৯ অগাস্ট থেকে তিন দিন জয় ভারত মহাসম্পর্ক যাত্রা চলবে উত্তর প্রদেশে।‘ তিনি জানান, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ইউপির ৭৫টি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭৫ ঘণ্টা সময় কাটাবেন। কোন ৩০ হাজার গ্রামবাসীর কাছে পৌছবেন তাঁরা, একটা তালিকা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও এই বছরের মধ্যে মোট ৯০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছন লক্ষ্য কংগ্রেসের। এমনটাই জানান ধীরজ গুর্জর।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই তিনদিন দলীয় তরফে একাধিক কর্মসূচি গৃহীত হবে। প্রতিদিন একঘণ্টা স্থানীয়দের শ্রমদান করবেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এমনকি, ২০ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির জন্মদিন উদযাপনে সদ্ভাবনা দিবস পালিত হবে। সেই দিনে স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী, তাঁদের পরিবার এবং প্রবীণদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এদিকে, উত্তর প্রদেশ ভোটকে মাথায় রেখে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে পারে মোদী সরকার। সম্প্রতি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউপির এক বিজেপি নেতা। দিল্লি সীমান্ত-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বিজেপির রাম ইকবাল সিং। ইউপি বিজেপির কার্যকরী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘কৃষকদের দাবি নৈতিক। কৃষি আন্দোলন এবং উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে পারে কেন্দ্র।‘
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হরিয়ানা, দিল্লি সীমান্ত-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশেও কৃষক আন্দোলন গতি পেয়েছে। সেই আঁচে গ্রামে গ্রামে প্রচারের জন্য যেতে পারছেন না তিনি। এই মন্তব্য করে তাঁর আশঙ্কা, ‘আগামি দিনেও কৃষকরা তাঁকে ঘেরাও করতে পারেন।‘ তবে শুধু কৃষক আন্দোলন নয়, পেগাসাস-কাণ্ডে দলের অবস্থানের বিরুদ্ধমত প্রকাশ করেছেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর পরামর্শ, ‘বিরোধীদের দাবি মেনে পেগাসাস-কাণ্ডে সরকারের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত। সংসদ পরিচালনায় এটা সরকারের কর্তব্য।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন