সরকারি কর্মচারীরা এখন আরএসএসের কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারেন। মধ্যপ্রদেশে এ নিয়ম চলছে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে। কংগ্রেস বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে এ নির্দেশ প্রত্যাহার করবে।
শনিবার কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সরকারি জায়গায় আরএসএসের শাখা চালানো বন্ধ করা হবে এবং সরকারি চাকুরেদের শাখায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি সম্বলিত নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন, “কসাইরা গরুর স্বপ্ন দেখছে”, কংগ্রেসকে এক হাত বিজেপি নেতার
কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেছেন, ‘‘আরএসএস একটি রাজনৈতিক সংগঠন। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস দল যদি এই অভ্যাস বন্ধ করতে চায়, তাহলে আমি তাতে ভুল কিছু দেখি না। লরকারি কর্মচারীরা যতদিন সরকারের হয়ে কাজ করছেন, ততদিন তাঁদের প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত নয়।’’
এই ইস্য়ুতে কংগ্রেসকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেছেন, ‘‘দেখেশুনে মনে হচ্ছে কংগ্রেসের এখন একটাই মাত্র লক্ষ্য- মন্দির নেহি বন নে দেঙ্গে, শাখা নেহি চলনে দেঙ্গে।’’
এই নিষেধাজ্ঞা প্রথম কার্যকরী হয় ১৯৮১ সালে এবং ফের লাগু হয় ২০০০ সালে, যখন দিগ্বিজয় সিং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই নিষেধাজ্ঞায় কর্মচারীদের সাবধান করে বলা হয়েছিল, যদি কাউকে আরএসএসের শাখায় বা আরএসএসের অন্য কোনও রকম সাংগঠনিক কার্যকলাপে জড়িত থাকতে দেখা যায়, তাহলে ১৯৬৬ সালের মধ্যপ্রদেশ সিভিল সার্ভিস আইন অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, আরএসএস একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়।
Read the Full Story in English