Advertisment

আজই কী নয়া সভাপতি সহ কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের ঘোষণা? মত নেই বহু শীর্ষ নেতার

তবে, দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর (জি-২৩) ২৩ নেতা সহ কর্মসমিতির অনেকেই এখনই সাংগঠনিক রদবদলের পক্ষে নন।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Congress Working Committee meets today updates

ফাইল ছবি

মাস পাঁচেক পর আবারও কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। সনিয়া, রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে এদিনই দলের সর্বক্ষণের সভাপতি সহ সাংগঠনিক নির্বাচনের ঘোষণা করা হয় কিনা সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। তবে, দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর (জি-২৩) ২৩ নেতা সহ কর্মসমিতির অনেকেই এখনই সাংগঠনিক রদবদলের পক্ষে নন। তাঁদের দাবি, আগামী কয়েক মাসেই দেশের পাঁচ রাজ্যে ভোট রয়েছে। আপাতত বিজেপিকে ঠেকাতে সেইসব নির্বাচনে দলীয় নেতৃত্বের মনোনিবেশ করা উচিত। এমনকী বিদ্রোহীদের অনেকেই জানিয়েছেন যে, আগামী বিধানসভা ভোটকে বিবেচনা করে যদি হাইকমান্ড এখন দলের সাংগঠনিক নির্বাচন স্থগিত রাখে তবে তাঁরা এর বিরোধিতা করবেন না।

Advertisment

কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির একাধিক সদস্যের সঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধির কথা হয়েছে। তাঁরা বেশিরভাগই সনিয়া গান্ধীর অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।

দেশের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস কর্মসমিতির সদস্য হরিশ রাওয়াত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেকে বলেছেন, '২০২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। এরপর লোকসভা। ফলে সাংগঠনিক নির্বাচনের মতো ইস্যুগুলিকে প্রাধান্য না দিয়ে এখন উচিত বিধানসভা ভোটগুলিতে কীভাবে ভালো ফল করা যায় তার উপর গুরুত্ব দেওয়া। দলের সংগঠন পোক্ত করা খুব দরকার। দলের অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুর থেকে দেশ রক্ষা, দেশের কাজই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সংখ্যাধিক্য শীর্ষ নেতৃত্ব যদি সাংগঠনির নির্বাচনের পক্ষে মত দেন তাহলে আমরা তার জন্য প্রস্তুত।'

হাত শিবিরের জি-২৩ নেতাদের মধ্যে অনেকে এখনই সাংগঠনিক নির্বাচন না চাইলেও সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরুর পক্ষে তাঁরা। এইসব নেতা মনে করছেন যে, ২০১৬-১৭ সালে শেষ সদস্য সংগ্রহ অভিযান হয়েছিল। চার-পাঁচ বছর তা বন্ধ। ফলে সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জি-২৩ গোষ্ঠীভুক্ত এক কংগ্রেস নেতার কথায়, 'সদস্যরাই তো ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবে। নীচ থেকে উপর পর্যন্ত এভাবেই নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক হবে। তাই সদস্য সংগ্রহ অভিযান জরুরি। একই সঙ্গে প্রয়োজন আগামী বিধানসভা ভোটগুলিতে ভালোর ফলের জন্য মনোনিবেশ করা।'

গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক কর্মসমিতির সদস্য সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সনিয়ার বদলে কে দলের হাল ধরবেন ও সংগঠনকে জোটবদ্ধ রাখবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। এই নেতার কথায়, 'এখনই সাংগঠনির ভোট অনর্থক। ম্যাম যতক্ষণ রয়েছেন ততক্ষণ গাড়ি এগোচ্ছে, ছেড়ে দিলেই তা দাঁড়িয়ে যাবে। ওনার বদলে দলকে কে জোটবদ্ধভাবে রাখতে পারবেন? প্রতিটা রাজ্যেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে, সেকথা মাথায় রেকেই সব পদক্ষেপ করতে হবে। তাই সব থেকে ভালো এখন থেকে আগামী পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ঝাঁপানো।'

কর্মসমিতির বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে? এক অফিস বেয়ারারের কথায়, 'সম্প্রতি লখিমপুরকাণ্ডে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে পদক্ষেপ করছেন তার প্রশংসা হবে। প্রতিযোগিতামূলক স্তুতিও হতে পারে। এছাড়া, এই বৈঠক থেকে সদর্থক কিছু ইঙ্গিত মিলবে বা সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছি না। আবারও একটা বেকার বৈঠক হতে চলেছে।'

আবার এক নেতার কথা, দল অসম, কেরালায় হেরেছে। বাংলায় ধরাশায়ী। এর কারণ খুঁজতে সনিয়া গান্ধী কমিটি গড়েছিলেন। কমিটির রিপোর্ট আমরা জানি না। পরবর্তী কোনও পরিকল্পনার আগে এই কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা দরকার।

২ বছর আগে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতিত্ব ছেড়েছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসাবে ফের কংগ্রেসের চালকের আসনে বসেন সনিয়া। কর্মসমিতির বৈঠকের আগে অনেকেই চাইছেন আপাতত সনিয়াই ওই পদে থাকুন, আবার অনেকেই রাহুলের ফের সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তনের পক্ষে। এখন কর্মসমিতির বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার কর্মী।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Harish Rawat sonia gandhi Priyanka Gandhi CONGRESS rahul gandhi
Advertisment