/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/Meghalaya-CM-Conrad-Sangma.jpg)
দক্ষিণ তুরা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের পর মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
তাঁর দল ন্যাশনাল পিপল'স পার্টি (এনপিপি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে কনরাড সাংমার দল পেয়েছে ২৬ আসন। কিন্তু, সরকার গড়তে আরও পাঁচ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। মেঘালয়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দ্বারস্থ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি ফোনে সমর্থন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। একথা টুইটবার্তায় জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
Thank you the people of Meghalaya for your support and blessings to BJP. I applaud @BJP4Meghalaya for their hard work to expand BJP’s footprints in the state.
BJP under PM @narendramodi Ji will leave no stone unturned in serving the people and creating a bright future for them.— Amit Shah (@AmitShah) March 2, 2023
ভোট পরবর্তী ফলাফলের প্রায় যাবতীয় সমীক্ষা ব্যর্থ করে মেঘালয়ে এবার কোনও রাজনৈতিক দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ৩১ আসন পায়নি। তবে, কনরাডের দল এনপিপি একক বৃহত্তম দলের স্থান পেয়েছে। কনরাড নিজে জিতেছেন দক্ষিণ তুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। প্রত্যাশা জাগিয়ে ছোট আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ইউডিপি) ১১ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে দৌড় শেষ করেছে।
আরও পড়ুন- মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম রায়, নির্দেশের গুরুত্বটা কী?
কংগ্রেস জিতেছে পাঁচটি আসনে। তবে, মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান তথা শিলঙের সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পলা নিজে হেরে গেছেন। তিনি পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সুতঙ্গা সাইপুং বিধানসভা কেন্দ্রে এনপিপির শান্তা মেরি শীলার কাছে ১,৮২৮ ভোটে পরাস্ত হয়েছেন। কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও পেয়েছে পাঁচটি আসন। বিজেপি জিতেছে দুটি আসনে। এই দুটি আসনে জিতেই অবশ্য খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই দুই আসনে জেতানোর জন্য মেঘালয়বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস এবার মেঘালয়ে ভালো ফলের আশা করেছিল। মেঘালয়ে দলের নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সরকার গঠনের আশা ছিল জোড়াফুল শিবিরের। তবে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মজার ব্যাপার হল, যে দলগুলোর পাঁচ জন করে বিধায়ক রয়েছে, যাদের সমর্থন পেলে তাঁর সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-পাওয়ার সমস্যা কেটে যায়, সেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কারও কাছেই সমর্থন চেয়ে আবেদন জানাননি কনরাড।