গত শুক্রবার নজিরবিহীন কায়দায় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় 'দলে দম বন্ধ হয়ে আসছে' বলে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তারপরই বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। ঘটনার পরই রাজ্য সভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে মোখিকভাবে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। একই ইস্যুতে এবার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন সুখেন্দুশেখর রায়। গোটা ঘটনার পিছনে 'ষড়যন্ত্রে'র অভিযোগ করেছেন জোড়া-ফুলের এই আইনজীবী সাংসদ। একইসঙ্গে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এর আগে দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশন তোলেন। বলেছিলেন "রাজ্যসভায় বাজেটের উপর তৃণমূলের দু'জনের বলার কথা ছিল। দীনেশের বলার কথা ছিল না। কিন্তু অধিবেশন শুরু পর শাসকদল বিজেপিকে ম্যানেজ করে বলার জন্য সময় বরাদ্দ করেছেন দীনেশ। আগেই সব ঠিকঠাক করা ছিল, নাহলে ডেপুটি চেয়ারম্যান তাঁকে সময় দিতে পারেন না আচমকা।"
আরও পড়ুন- ‘দলে দম বন্ধ হয়ে আসছে’, রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশের
আরও পড়ুন- “এত ঘন ঘন দমবন্ধ হয়ে আসলে তো খুব চিন্তার ব্যাপার!”, দীনেশকে কটাক্ষ তাঁরই সতীর্থর
চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূল সাংদ লিখেছেন, "তৃণমূলের পক্ষে বক্তা ছিলেন না দীনেশ, সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও চার মিনিট ধরে বক্তব্য রাখলেন তিনি। বাজেট আলোচনায় অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। চেয়ারম্যান সেটা থামাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্য়সভার অপব্যবহার করেছেন। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ অপব্যবহার করেছেন। এই ঘটনার পিছনে কোনও ।ড়যন্ত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে এর তদন্ত হওয়া উচিত।"
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীনই নাটকীয়ভাবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দীনেশ। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, "দলে দম বন্ধ হয়ে আসছে। এটাই অবস্থান নেওয়ার সেরা সময়। আর চুপ থাকা যাচ্ছে না। বাংলায় হিংসা হচ্ছে। আমার খারপ লাগছে। আমি ভাবছি এখানে বসে কি করব? তাই সেখানে গিয়েই কাজ করা ভাল বলে মনে করছি। এজন্য রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।" একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'দেশ, নাকি দল ও ব্যক্তি আগে। অন্তরাত্মার আমাকে বলছে দেশ সবার ঊর্ধ্বে। ভারতে দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। কোভিড মোকাবিলাই তার প্রমাণ।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন