দেশের সংবিধান বিপন্ন। তাই সংবিধান দিবসে সংবিধান প্রণেতার মূর্তির সামনেই বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলের সাংসদরা। মঙ্গলবার বিশেষ যৌথ অধিবেশনও বয়কট করে বিরোধী দলগুলি। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে চলে এই বিক্ষোভ। মহারাষ্ট্র পরিস্থিতি তুলে ধরে অভিযোগ ওঠে, ‘দেশে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। সংসদে গতকালই দুই মহিলা সাংসদকে হেনস্থার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। এদিনের বিক্ষোভে সেই বিষয়টিকেও অন্তর্ভূক্ত করে কংগ্রেস। সংবিধান দিবসে ফের বিরোধী শিবিরের ঐক্য দেখল দেশ।
Congress President Smt. Sonia Gandhi reads out the Preamble of the Constitution of India outside Parliament on #ConstitutionDay pic.twitter.com/gvCGmNgNMk
— Congress (@INCIndia) November 26, 2019
অভিনব এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেপথ্যে অবশ্য রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল আগেই জানিয়েছিল, রাজ্যপাল ধানকড়ের তথাকথিত ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত’ কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবিধান দিবসে ধর্নায় বসবেন দলীয় সাংসদরা। শীর্ষ দুই কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ আহমেদ প্যাটেল ও গুলাম নবি আজাদ বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরাই বিষয়টি পৌঁছে দেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় রাজ্যপাল কোশিয়ারির নানা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাবে দল।
আরও পড়ুন: উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ অজিত পাওয়ারের
খোদ সোনিয়া গান্ধী বাম দলগুলির সঙ্গে এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। এছাড়ও তাঁর সঙ্গে কথা হয়, সমাজবাদী দল, বিএসপি, আপ ও শিবসেনা নেতৃত্বের।
গত ছয় বছর ধরেই সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনটিকে সংবিধান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। সেই উপলক্ষে এদিন সংসদে বিশেষ যৌথ অধিবেশন বসে। ‘দেশবাসীর অধিকার ও কর্তব্য একই সঙ্গে সংবিধানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের এটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমাদের ভাবা উচিত কীভাবে সংবিধানে উল্লেখিত কর্তব্য আমরা পালন করব।’ শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যখন সংসদের অন্দরে ভাষণ দিচ্ছেন তখন বাইরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, শিবসেনা সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা।
Read the full story in English