দেশের সংবিধান বিপন্ন। তাই সংবিধান দিবসে সংবিধান প্রণেতার মূর্তির সামনেই বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলের সাংসদরা। মঙ্গলবার বিশেষ যৌথ অধিবেশনও বয়কট করে বিরোধী দলগুলি। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে চলে এই বিক্ষোভ। মহারাষ্ট্র পরিস্থিতি তুলে ধরে অভিযোগ ওঠে, 'দেশে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। সংসদে গতকালই দুই মহিলা সাংসদকে হেনস্থার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। এদিনের বিক্ষোভে সেই বিষয়টিকেও অন্তর্ভূক্ত করে কংগ্রেস। সংবিধান দিবসে ফের বিরোধী শিবিরের ঐক্য দেখল দেশ।
খোদ সোনিয়া গান্ধী বাম দলগুলির সঙ্গে এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। এছাড়ও তাঁর সঙ্গে কথা হয়, সমাজবাদী দল, বিএসপি, আপ ও শিবসেনা নেতৃত্বের।
গত ছয় বছর ধরেই সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনটিকে সংবিধান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। সেই উপলক্ষে এদিন সংসদে বিশেষ যৌথ অধিবেশন বসে। 'দেশবাসীর অধিকার ও কর্তব্য একই সঙ্গে সংবিধানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের এটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমাদের ভাবা উচিত কীভাবে সংবিধানে উল্লেখিত কর্তব্য আমরা পালন করব।' শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যখন সংসদের অন্দরে ভাষণ দিচ্ছেন তখন বাইরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, শিবসেনা সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা।