তৃণমূল ছাড়লেন মিহির গোস্বামী। শুক্রবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েছেন এি বিধায়ক। তার আগে এদিন দুপুরেই রাজধানী পৌঁছে যান কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সঙ্গে কোচবিহারেরই বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মিহির গোস্বামী। তার পরের দিনই দিল্লি যাওয়ায় তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা।
দল ত্যাগের কথা জানিয়ে মিহির গোস্বামীর প্রেস বিবৃতি।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে কোচবিহার উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, গত ১০ বছর ধরে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেও যোগ্য সম্মান পাননি তিনি। দলে নিজের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। কিন্তু সেই আর্জিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেননি বলে অভিযোগ মিহিরবাবুর। উল্টে দল তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে সেসবে প্রশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এরপরই শুক্রবার দিল্লি যান কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক।
এর আগে তৃণমূল আর 'দিদির দল নেই' বলে সরাসরি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন মিহিরবাবু।
সংগঠনে যাঁর বিরুদ্ধে মিহির গোস্বামীর অভিযোগ সেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দিন কয়েক আগেই বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মান ভঞ্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। উল্টে এদিন মিহিরবাবুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেছেন, 'রাগ-অভিমান-ক্ষোভ থাকতেই পারে। ওঁর আর একটু ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আরও এক বার আলোচনা করতে পারতেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন