কর্ণাটক সরকার রবিবার অফিসে ১০০ দিন পূর্ণ করার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেছেন, 'আরও একটি প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে হাঁটছে সরকার।' ক্ষমতায় এসে কর্ণাটকে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করার ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সেই মতো তিনটি প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই পূরণ করা হয়েছে। চতুর্থটি আলোচনার পর বুধবার চালু হবে বলেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এইভাবে একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণ করা কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এবার তাঁর চলার শুরুটা বেশ নড়বড় ভাবেই হয়েছিল। সেই সময় মনে হয়েছিল, কিছুদিন পরেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদটা প্রতিদ্বন্দ্বী ডিকে শিবকুমারকে ছেড়ে দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত শিবকুমার কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী হন। পাশাপাশি, দুটি লোভনীয় দফতরও তিনি হাতে রেখেছেন। তার একটি হল বেঙ্গালুরু শহরের উন্নয়ন। অপরটি হল জলসম্পদ দফতর।
কংগ্রেস সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদে সিদ্দারামাইয়া পদত্যাগ করবেন এবং শিবকুমার মাঝপথে দায়িত্ব নেবেন বলে প্রাথমিক গুজব ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, বিধানসভা পরিষদের সাম্প্রতিক মনোনয়নে সিদ্দারামাইয়া তাঁর শিবিরের দুই নেতা- এমআর সীতারাম ও উমাশ্রীকে বিধানসভায় নিয়ে আসতে সফল হয়েছেন।
সিদ্দারামাইয়া এখনও পর্যন্ত যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তা হল তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির দুর্নীতির অভিযোগ। যা বিশেষ ক্ষতিকর। কারণ, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানই কংগ্রেসকে সাম্প্রতিক কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছে। বিজেপি এবং জেডি (এস) বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের বদলিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন- চন্দ্রযানের সাফল্যে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মন্দিরযাত্রা, আইনস্টাইনের উদাহরণ টেনে কী বার্তা প্রাক্তন ইসরোকর্তার?
জেডি (এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী আবার অভিযোগ করেছেন আধিকারিকদের বদলির জন্য সিদ্দারামাইয়ার ছেলে তথা প্রাক্তন বিধায়ক যথীন্দ্র সিদ্দারামাইয়াকে ঘুষ দিতে হচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রী ও বিধায়করা তাঁদের তোলাবাজির মাধ্যমে আয় করা অর্থের অংশ সিদ্দারামাইয়ার ছেলেকে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কুমারস্বামী। তাঁর অভিযোগ, মন্ত্রী ও বিধায়কদের দেওয়া এই অর্থের পরিমাণ ইতিমধ্যেই ১,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।