সংক্রমণ বাড়লেও গণতন্ত্রের উৎসবে ইতি নয়। শনিবারই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভোট হবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, পাঞ্জাব, মণিপুরে। কোভিড আবহে এই বিধি বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোকেই চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।
Advertisment
করোনার বাড়বাড়ন্তে প্রচার থেকে ভোট প্রক্রিয়া- কমিশন সবেতেই কড়াবিধি আরোপ করেছে। সংক্রমণের গতি রুখতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল বা বাইক র্যালি ও মিছিলের অনুমতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতি বুথে আগে গড়ে ১৫০০ করে ভোটার ভোট দিতেন, সেই সংখ্যা কমিয়ে ১,২৫০ করা হয়েছে। ভোটের সময়ও আগের তুলনায় ১ ঘন্টা বৃদ্ধি হয়েছে।
বিধি ভাঙলেই কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর দাবি, প্রচার থেকে ভোটের অন্যান্য কর্মসূচি, ভোটদানের প্রক্রিয়া, গণনা- বিধি মেনে হচ্ছে কিনা তা দেখতে কড়া নজরদারি চালাবে কমিশন।
করোনা আবহে কেন ভোট আপাতত স্থগিত করা গেল না? জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেছেন, 'কমিশন সংবিধান অনুযায়ী অর্পিত সব দায়িত্ব পালন করবে। সেই দায়িত্ব পালন করার সময়, যা কিছু বিবেচনা করতে হবে - হয় ক্রমবর্ধমান কোভিড সংখ্যা বা ক্রমবর্ধমান জনসভা পরিচালনা করা - এটি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন ঘোষণা করা হবে।' তাঁর দাবি, 'উত্তরপ্রদেশের সব রাজনৈতিক দল ভোট স্থগিতের বিরোধিতা করেছিল। কোভিড বিধি মেনে ভোট করার দাবি তুলেছিল তারা।'
Advertisment
পাঁচ রাজ্যের ভোটে জারি কোভিডবিধি-
১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল বা বাইক র্যালি, মিছিলের অনুমতিতে নিষেধাজ্ঞা।
দরজায় দরজায় প্রচারের জন্য প্রার্থীর সঙ্গে ৫ জনকে অনুমতি।
গণনার শেষে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব সরকারি কর্মীদের টিকার দুটি ডোজ থাকা বাধ্যতামূলক।
নির্বাচন সংক্রান্ত কার্।কলাপের সময় প্রত্যেককে ফেসমাস্ক পড়তে হবে।
নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ঘর ও প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময়: (ক) সকলকে থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে; (খ) স্যানিটাইজার, সাবান এবং জল থাকবে। গ) রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি কোভিড নির্দেশিকা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা হবে।
ভোট ও নিরাপত্তা কর্মী ও ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্তদের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি মজুত রাখা।
নোডাল হেলথ অফিসারকে রাজ্য, জেলা এবং বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মনোনীত করা হবে, যাঁরা ভোটের সময় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ব্যবস্থাপনায় নজরদারি করবেন।
ইভইএম/ভিভিপ্যাট পরিচালনাকারী প্রতিটি অফিসার গ্লাভস ব্যবহার করবেন।
যতটা সম্ভব, বড় হলগুলোতে বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ হবে অনলাইনে।
মনোনয়ন জমা অনলাইনে হবে। এফইডেফিটও হবে অনলাইনে।
প্রতিটা ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ ও বাহির পথে সাবান ও জলের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিটা ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ ও বাহির পথে স্যানিটাইজার থাকবে।