কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে বাংলার নয় জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। সরাসরি তাঁদেরকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নির্বাচিত হয়েও তাঁকে ডাকা হয়নি। পিএমও-র এই কাজে ক্ষুদ্ধ হয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীকে ওই বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি, কোন অফিসারদের ডাকা হচ্ছে, সেই বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীও জানেন না।
পিএমও-র ডিরেক্টর রাজেন্দ্র কুমার ২০মে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক সম্পর্কে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম প্রশাসনের কাছে বৈঠকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন ২০ মে বেলা ১১টায়। তাতে বিভিন্ন রাজ্যের যে-সব অফিসারকে ডাকা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বাংলার ন’জন জেলাশাসক আছেন। ৫৪টি জেলার মধ্যে ১০টি গুরুতর আক্রান্ত জেলার প্রধানদের ডাকা হয়।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচিত ছিল প্রথমে রাজ্য প্রশাসনকে অবহিত করা। রাজ্য সরকারই জেলা প্রশাসনকে অবহিত করত। গণতান্ত্রিক কাঠামো অস্বীকার করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী কোভিডকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে প্রচার করতে এখানে এসেছিলেন। " তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এ ভাবে জেলাশাসক স্তরের অফিসারদের ডেকে বৈঠক করলে নানা রকম প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং সে কারণেই তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫৪ জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন। তৃণমূলের উচিত হবে না এই জরুরি অবস্থা পরিস্থিতি চলাকালীন সময়ে রাজনীতি করা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন