কর্ণাটকে খুনের অভিযুক্ত গোরক্ষকের সঙ্গে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের ছবি। যা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পুনীত কেরেহাল্লি নামে ওই গোরক্ষকের বিরুদ্ধে এক মুসলিম গরু ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। কর্ণাটকে সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ একাধিক সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত। গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যু এবং অন্যান্য মামলায় সে অভিযুক্ত।
নিহত ইদ্রিশ পাশার ছোট ভাই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, কেরেহাল্লির দলবল ইদ্রিশের গাড়ি আটকায়। তার পর গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। ইউনুসের অভিযোগ, দাদার বুকে পিছনে পোড়া দাগ ছিল। ওঁকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে।
রামনগর জেলার পুলিশ সুপার কার্তিক রেড্ডি বলেছেন, "ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। তার পর কেরেহাল্লি এবং তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে কেরেহাল্লিকে ধরার জন্য।" ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৪১ ধারায় অপরাধমূলক কাজকর্ম, ৫০৪ ধারায় শান্তিভঙ্গ এবং ৩২৪ ধারায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের মতো মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন বিরোধীদের দ্বিধা অব্যাহত: তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, কিন্তু কীভাবে আর কীসের ভিত্তিতে?
এফআইআরে ইউনুস দাবি করেছে, "কেরেহাল্লি এবং তাঁর দলবল ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল ইদ্রিশের কাছ থেকে। তা না দিতে চাওয়ায় তাঁর দাদাকে খুন করা হয়।"
পুলিশ সূত্রে খবর, বিদেশি পুলিশের মতো ইদ্রিশের শরীরে স্টান গান ব্যবহার করা হয়েছিল। যাতে তিনি পালাতে না পারেন। এর আগেও কেরেহাল্লি স্টান গান এবং বেসবল ব্যাটের ভিডিও পোস্ট করেছিল। খুনের ঘটনায় বিজেপি মুখপাত্র এম জি মহেশ বলেছেন, "তদন্তে সত্যিটা সামনে আসুক। অনেকেই বলছেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু।"
বিজেপির সঙ্গে কেরেহাল্লির যোগ নিয়ে মহেশ বলেছেন, "আমি বিজেপির সঙ্গে গত ৪০ বছর ধরে যুক্ত। দলের হয়ে অনেকে কাজ করেন। আমি পুনীতের বিষয়ে নিশ্চিত নই।" তবে বেঙ্গালুরুর ট্যাক্সিচালক থেকে ধূমকেতুর মতো উত্থান হয় কেরেহাল্লির। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সি টি রবি, সাংসদ তেজস্বী সূর্যের মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে এসে দ্রুত উত্থান হয়। আরএসএস-এর কর্মসূচিতেও দেখা যেত তাঁকে।