/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/kanhaiya.jpg)
কানহাইয়া কুমার। ফাইল ছবি
দলের যুবনেতা কানহাইয়া কুমারের নামে দেশদ্রোহিতার অভিযোগের বিরুদ্ধে "আইনত এবং রাজনৈতিক উপায়ে" লড়বে সিপিআই। দলের পক্ষ থেকে শনিবার একথা জানিয়ে আরও বলা হয়, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) সরকার "রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার" করেছে।
শুক্রবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমার এবং আরও ন'জনের বিরুদ্ধে চার বছরের পুরোনো দেশদ্রোহিতা মামলায় দিল্লি পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার ছাড়পত্র দেয় দিল্লির সরকার। এই মামলার অগ্রগতি আটকে রেখেছে দিল্লির শাসকদল, বিজেপির বারংবার তোলা এই অভিযোগও অস্বীকার করে আপ।
এক বিবৃতিতে সিপিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, "দলের রাষ্ট্রীয় এক্সিকিউটিভের সদস্য তথা জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগের আইনি এবং রাজনৈতিক মোকাবিলা করবে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (সিপিআই)। দল এ সম্পর্কে নিশ্চিত যে কানহাইয়া কুমার এই মামলা থেকে সসম্মানে বেরিয়ে আসবেন, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার "রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার" করে "কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে", যা দুর্ভাগ্যজনক। এক জায়গায় বলা হয়েছে, "এখানে মনে রাখতে হবে যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই প্রথমে বলেছিলেন যে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয় না, এবং ভিডিওগুলি সাজানো। আমরা এখনও জানি না কেন তিনি হঠাৎ মত পরিবর্তন করলেন।"
সিপিআই আরও জানিয়েছে যে তারা শিগগিরি দিল্লি সরকারের স্থায়ী কৌঁসুলির জমা দেওয়া পরামর্শ তালিকার একটি কপি সংগ্রহ করবে। উল্লেখ্য, এই মামলায় কানহাইয়ার বিরুদ্ধে কোনোরকম পদেক্ষেপের পরামর্শ আসে নি কৌঁসুলির তরফে।
বিবৃতিতে পরিশেষে বলা হয়েছে, "কানহাইয়া কুমারকে দেশদ্রোহিতার মিথ্যা মামলার জড়ানোর প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছে দল, এবং তাদের সমস্ত শাখা ও সংগঠনের কাছে আবেদন জানাচ্ছে যেন তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানায়।"
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us