আর মাসখানেক পরেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করল সিপিএম। গত কয়েক মাসের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার সিপিএম একথা জানিয়েছে। দল বিজেপিকে পরাস্ত করতে 'ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ব্যাপক সংহতি' চায়। আর, সেই জন্য এই জোটের সিদ্ধান্ত। তবে, আসন ভাগ যেন 'বাস্তবতার' ভিত্তিতে হয়, এটাই তাঁদের একমাত্র কাম্য।
দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির একদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি জানান, ত্রিপুরার উপজাতি প্রধান দল, টিপরা মোথা পার্টিও এই প্রাক-নির্বাচনী জোটে শরিক হতে চলেছে। এই নিয়ে মঙ্গলবারই দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলেই ইয়েচুরি জানান।
ইয়েচুরি ছাড়াও এই বৈঠকে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাত, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং ত্রিপুরার সমস্ত জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের এই নির্বাচনী জোট যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে, সাংবাদিক বৈঠকে তা-ও স্পষ্ট করে দেন ইয়েচুরি।
তিনি বলেন, 'আমরা আসন্ন নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। শুধুমাত্র ত্রিপুরার জন্য নয়, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ও সংবিধানের স্বার্থেই আমরা এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি। এই নির্বাচন শুধু উত্তর-পূর্বই নয়। সমগ্র ভারত, দেশের উন্নয়ন এবং জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন- বিকল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল ব্যবস্থা, ব্যাপক ভোগান্তি যাত্রীদের
পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন যে দলের বিরুদ্ধে ছিল তাঁদের লড়াই, সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে কোনও অসুবিধা হবে না সিপিএমের? কার্যত সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে ইয়েচুরি জানান, সিপিএম বিশ্বাস করে যে বিজেপিকে ত্রিপুরায় পরবর্তী সরকার গঠন করা থেকে বিরত রাখতে হবে। আর, এজন্য বিজেপি-বিরোধী শক্তির জোটবদ্ধ হওয়া দরকার।
ইয়েচুরি বলেন, 'মানুষকে একটি উন্নত জীবন দেওয়া এবং জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা ছিল বামেদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। যে প্রধান দলগুলো বামদের সঙ্গে এই সব লক্ষ্য ভাগ করেছে, তারা হল কংগ্রেস এবং তিপরা মোথা।
Read full story in English