CPIM Brigade Rally at Kolkata Today: বামপন্থী দলগুলি আজ কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। ব্রিগেডের মঞ্চের নিচে লাগানো হয়েছিল পোস্টার, "Oust BJP, Save India. Oust TMC, Save Bengal"। বিমান বসু থেকে সীতারাম ইয়েচুরি, ক্ষিতি গোস্বামী থেকে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সব বক্তাই আজ প্রত্যাশিতভাবে নিশানা করেছেন বিজেপি এবং তৃণমূলকে। ব্যতিক্রম হলেন না দেবলীনা হেমব্রমও। মোদি-মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বললেন, "দেশে এবং রাজ্যে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের শপথ নিন।"
একটা প্রশ্ন বাম সমর্থকদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল আজ। উনি কি আসবেন? 'উনি' মানে পাম অ্যাভিনিউয়ের ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ির দীর্ঘদিনের বাসিন্দা, 'উনি' মানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ, কার্যত গৃহবন্দি। ব্রিগেডে আসার ধকল নিতে পারবেন অসুস্থ শরীরে? সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ব্রিগেডে দর্শন দেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
3.30 pm: "ইয়ে বিজেপি-তৃণমূল তুমহে জিনে নেহি দেগা, ইয়ে লাল ঝান্ডা তুমহে মরনে নেহি দেগা।" 'মুঘল-এ-আজম' ছবির কিংবদন্তী সংলাপের সামান্য বিকৃতি দিয়ে শেষ করলেন সেলিম।
3.25 pm: "পুলিশ-সিআইডি দিয়ে প্রমাণ লোপাট করেছিলেন দিদি, সিবিআই দিয়ে করছেন মোদী। রাজ্যে তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন হচ্ছে, সেই পরিবারগুলোকে বলব, একমাত্র লাল ঝান্ডাই পারে আপনাদের সম্মান ফেরত দিতে," সেলিম উবাচ।
3.15 pm: "হিটলার পারে নি লাল ঝান্ডাকে শেষ করতে, হিটলারের নাতিপুতি মোদী-মমতাও পারবে না। জব লুঠ চলতা হ্যায়, তো ঝুট বোলনা পড়তা হ্যায়। আমরা ৩৪ বছরে একটাও দাঙ্গা হতে দিই নি, আজ রাজ্যে পরপর দাঙ্গা হচ্ছে, সরকারের কিছু বলার ক্ষমতা নেই। আমাদের শ্রীকান্ত মোহতার মতো লোককে দিয়ে টালিগঞ্জ থেকে নায়িকা এনে সভা ভরানোর দরকার হয় না।"
3.10 pm: "লাল সমুদ্রকে বাধা দিলে সুনামি হবে," হুঙ্কার দিলেন মহম্মদ সেলিম। "সেই সুনামি থেকে কেউ পার পাবে না, পুলিশ, সিবিআই, দিদির গুন্ডাবাহিনী, কেউ না। যেভাবে আপনারা ভয় উপেক্ষা করে এসেছেন, তার জন্য আপনাদের লাল সেলাম। দাদা-দিদির সেটিং আছে, সেটা ভেঙে দিন।"
3.00 pm: কিছুদিন আগে তৃণমূলের ব্রিগেডে ২৩ জন বক্তা ছিলেন। আজ নয় জন বক্তা, শোনার লোক দ্বিগুণ, দাবি করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বললেন, "চারদিকে শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আপনি থাকলে এক পয়সার বিনিয়োগও আসবে না।"
2.55 pm: ধ্বংসের পথে পশ্চিমবাংলা, বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র। "এই ব্রিগেড আপনাদের, নেতাদের নয়। আমরা একা পারব না, আপনারা পারবেন। দিল্লি থেকে বিজেপিকে হঠালে মুখ্যমন্ত্রীকে ঠেলে ফেলে দিতে বেশি সময় লাগবে না।"
2.45 pm: আদিবাসী নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য সরকারকে। "ভিক্ষা নয়, শিক্ষা চাই। ধামসা মাদল বিলি করে উন্নয়ন হয় না। রাজ্য থেকে তৃণমূলকে তাড়াতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলুন।"
2.35 pm: তৃণমূল বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন সিপিআইএম (লিবারেশন)-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কৃষকের আয় বেড়েছে, তাহলে কৃষক আত্মহত্যা করছেন কেন?" অন্যদিকে বললেন, "এনআরসি নিয়ে ভেদাভেদ করছে কেন্দ্র, ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। দেশে এবং বাংলায় গণতন্ত্র আক্রান্ত, সংবিধান বিপন্ন।" বাজেট নিয়ে বললেন, পাঁচ বছরে চুরি করা টাকাই ফিরিয়ে দিল বাজেট।
2.25 pm: চৌকিদারকে ছুটি দেওয়ার সময় এসেছে, বললেন সীতারাম ইয়েচুরি। চুরি করা চৌকিদার চাই না। বাংলায় লুঠ রুখতে বিজেপি-তৃণমূল জোটকে বিদায় করুন।
2.20 pm: ব্রিগেডে প্রায় একঘন্টা গাড়িতে বসে বক্তৃতা শোনার পর বাড়ির পথে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।ওদিকে এখনও বক্তব্য পেশ করছেন সীতারাম ইয়েচুরি। "দেশে লুঠতরাজ চলছে, ঘটানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন।"
2.15 pm: ভাষণ দিচ্ছেন সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দেশে মানবতার অবক্ষয়ের পিছনে মোদী সরকার। আমাদের দেশের অর্থনীতি, সমাজ, সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে সরকার। নীতি চাই, নেতা নয়। দেশকে স্বপ্ন দেখানো বন্ধ করুন মোদী।
2.10 pm: নোটবাতিলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ। জিএসটি-ও অগণিত মানুষের ক্ষতি করেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে মোদী সরকার, বললেন ক্ষিতি।
2.00 pm: গোরক্ষার নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে, ধর্মের নামে মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করছে বিজেপি, বললেন সিপিআইএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি। ভাষণ শুরু করলেন পরবর্তী বক্তা, আরএসপি-র নবনির্বাচিত জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী।
1.50 pm: বিমান বললেন, বিজেপি-তৃণমূল একই বৃন্তের দুটি ফুল। বিজেপির কড়া সমালোচনা করলেন দেবব্রত বিশ্বাসও। বললেন, বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোন জায়গা ছিল না। সেই জায়গা বিজেপি-কে করে দিয়েছে তৃণমূলই।
1.35 pm: রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার, দাবি করলেন বিমান। নিজের ভাষণে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কর্মীদের আহ্বান জানালেন সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। বললেন, "কমরেড, বুকের পাটা আছে তো? প্রতিরোধের দুর্গ তৈরি করতে হবে।"
1.25 pm: মঞ্চে উঠলেন না বুদ্ধ, শারীরিক কারণে বসে আছেন গাড়িতেই। বিমান জানালেন, এভাবেই সভার বক্তৃতা শুনবেন বুদ্ধ। বিমান সুর বেঁধে দিলেন সভার, তুললেন স্লোগান, "বিজেপি হঠাও, তৃণমূল হঠাও।"
1.23 pm: শুরু হয়ে গেছে সভা, সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে বাম শরিক দলগুলির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকদের। সংবর্ধিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সুধাকর রেড্ডি, ক্ষিতি গোস্বামী, দেবব্রত বিশ্বাস।
1.20 pm: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পৌঁছলেন ব্রিগেডে। 'কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জিন্দাবাদ' ধ্বনিতে স্বাগত জানালেন সমর্থকরা। বিমান বসুর সভাপতিত্বে শুরু হল বাম-ব্রিগেডের কার্যক্রম।
1.00 pm: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রিগেডে আসছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা দেবেন ব্রিগেডের উদ্দেশে।বহুদিন পরে প্রকাশ্য সভায় দেখা যাবে তাঁকে।
12.55 pm: যত মিছিল ঢুকছে, ততই ভিড় বাড়ছে ব্রিগেডে। তবে মাঠের পূর্ব দিকের অংশ এখনও অনেকটাই খালি। মঞ্চে এসে গিয়েছেন ইয়েচুরি-বিমান বসু সহ শীর্ষ নেতারা। সভা শুরু আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।
12.50 pm: সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ মুহুর্তে ব্রিগেড সমাবেশে আসা বাতিল করেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। শারীরিক সমস্যার জন্য শনিবার বিকেলে বিহারের বেগুসরাইতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে কানহাইয়াকে।
12.35 pm: পার্ক সার্কাস থেকে ব্রিগেডের দিকে রওনা দিল হাজার চারেক সমর্থকের মিছিল। মহম্মদ আলি পার্ক থেকেও শুরু হয়েছে মধ্য কলকাতার বাম-মিছিল। মিছিলে দেখা যাচ্ছে প্ল্যাকার্ড, "আমরা পথে আছি, মাঠে আছি"।
12.25 pm: উত্তর কলকাতার মিছিল ক্রমে দখল নিচ্ছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের। দক্ষিণ কলকাতার মিছিল রানীকুঠি থেকে শুরু হয়ে ব্রিগেডমুখী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড ধরে বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে।
12.22 pm: হাওড়া থেকে মিছিল আসছে ব্র্যাবোর্ন রোড-নিউ সিআইটি রোড-বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ধরে।শিয়ালদা থেকে শুরু হওয়া মিছিল ব্রিগেডমুখী এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে। প্রয়োজনমতো অন্যান্য গাড়ি অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
12.20 pm: শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল শুরু হয়ে গেছে বাম সমর্থকদের। নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুলও চোখে পড়ছে কিছু মিছিলে। ব্রিগেডে বাড়ছে ভিড়। সভাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু সহ শীর্ষ বাম নেতৃত্ব।
12.15 pm: আজকের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকছেন সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। থাকছেন প্রধান বামপন্থী দলগুলির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু আজ অন্যতম বক্তা। তবে সম্ভাব্য তারকা বক্তা যদি কেউ থাকেন, তিনি কানহাইয়া কুমার। সিপিআই-এর তরুণ তুর্কি নেতা, যাঁর বাগ্মিতা প্রশ্নাতীত। একটা সমস্যা, কানহাইয়া কুমার শেষ পর্যন্ত আসছেন কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
12.10 pm: ব্রিগেডে ঢুকতে শুরু করেছে মিছিল।আনুষ্ঠানিক ভাবে মিটিং শুরু হওয়ার কথা দুপুর একটায়। তবে বাম-ব্রিগেডের চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী গণসঙ্গীত বাজতে শুরু করেছে মূল মঞ্চ থেকে। হাওড়া-শিয়ালদা-পার্ক সার্কাস-রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়েছে ব্রিগেডমুখী মিছিল।
11.55 am: ব্রিগেড চত্বর তো বটেই, সিপিএম-এর সদর দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের আশেপাশে তো বটেই, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। নির্বাচনী নিরিখে ফিকে হয়ে আসা সেই লালে কতটা রং ফেরাতে পারবে আজকের ব্রিগেড, সেটাই দেখার।
11.45 am: গতকাল থেকেই দূরের জেলাগুলি থেকে বামপন্থী সমর্থকরা ঢুকতে শুরু করেছেন শহরে। যাঁদের থাকার ব্যবস্থা মূলত করা হয়েছে উত্তর কলকাতার একাধিক ধর্মশালায়। বামপন্থী নেতাদের দাবি, আজ ব্রিগেড ভরিয়ে দেবেন ছাত্র-যুবরাই।
আজকের ব্রিগেড বামপন্থীদের কাছে অস্তিত্বরক্ষার ব্রিগেড, শক্তিপ্রদর্শনের ব্রিগেড, ক্ষয়িষ্ণু সংগঠনে রক্তসঞ্চারের ব্রিগেড, লাল ঝাণ্ডার জেল্লা পুনরুদ্ধারের ব্রিগেড। বামপন্থী দলগুলির দাবি, লাল পতাকার ঢল নামবে কাল কলকাতায়, ব্রিগেড ভরে যাবে লক্ষ লক্ষ কালো মাথায়।