/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/west-politics-lead.jpg)
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জোটের লক্ষ্যে মহড়া শুরু করে দিল কংগ্রেস ও বামফ্রণ্ট। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তাঁরা ২৯ জুন রাজ্যব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামছে। অন্যান্য বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকেও জোটে যোগ দেওয়ার আবেদন করছে বাম-কংগ্রেস। তবে এখনই কোনও স্টিয়ারিং কমিটি হচ্ছে না। বুধবার দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দীর্ঘ বৈঠক করে একাধিক বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রণ্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী জোট হয়েছিল। যদিও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সেই জোট ভেস্তে যায়। রাজনীতির কারবারিরা মনে করে, ভোটের ফলাফল দেখে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপলব্ধি করে একসঙ্গে লড়াই না করলে অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। তখন দুই জোটের বৃহত্তর অংশের বক্তব্য ছিল, এভাবে শুধু ভোটের জন্য জোট নয়। বছরভর একসঙ্গে পথচলা নাহলে জোটের কোনও মানে নেই। বিশেষত রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ একাধিকবার এই দাবি জানান। অভিজ্ঞ মহলের মতে, রাজ্যে দুই দলেরই রাজনৈতিক শক্তি যে অবস্থায় রয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে এককভাবে তৃণমূল বা বিজেপির মোকাবিলা করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তাই এই জোট খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।
বামফ্রণ্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "তৃণমূল ও বিজেপিকে সরাতে আমরা যৌথ আন্দোলন করব। দেশের মানুষের শত্রু বিজেপি। আর বাংলার শত্রু বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল আর বিজেপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে আমাদের সবরকমের কর্মসূচি এক সঙ্গে করতে হবে। এ বিষয়ে আলচনা হয়েছে। আগামী ২৯ জুন পেট্রল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।"
কংগ্রেসও যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমেই চলতে বদ্ধপরিকর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন,"আমাদের চলার পথ এক। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় চলার জায়গা নেই। নাটক-নভেল করতে চাই না। আন্তরিক ভাবে বামফ্রণ্ট ও কংগ্রেস মিলে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই।"
একটা স্টিরায়িং কমিটি বা ফোরাম গঠন করার কথাও আলোচনা হয়েছে। এবিষয়ে বৈঠকে দুদলই ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তাঁরা মনে করছে চলতে চলতেই এই কমিটি বা ফোরাম গঠিত হবে। বিমান বসু বলেন, "চলতে চলতেই কংগ্রেসের সঙ্গে ফোরাম গড়ে উঠবে।" এবিষয়ে সোমেন মিত্রও সহমত পোষন করেছে।