এই মুহূর্তে বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায় না ফরওয়ার্ড ব্লক। ফ্রন্টের এই শরিক আলোচনার টেবিলে মতানৈক্য মিটিয়ে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ জোট নিয়ে এখনও আপত্তি রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের। তাদের পরামর্শ, মানুষ আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মেনে নেয়নি।এটা স্বীকার করে নিয়েই সিপিএম বামফ্রন্টকেই অগ্রাধিকার দিক।
আগামি মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে এটাই ফ্রন্টের প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক। সেই বৈঠকে থাকবে ফরওয়ার্ড ব্লক। বামফ্রন্টকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যেতে পারে? সে নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চায় অন্য শরিকরা। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আইএসএফ এবং কংগ্রেস সিপিএম-এর 'ক্রাচ'। এমনভাবেই কটাক্ষ করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। সেই ক্রাচে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইছে বামফ্রন্টের বড় শরিক। এমন অনুযোগ ফরওয়ার্ড ব্লকের।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘকাল বামফ্রন্ট মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছে। ২০১৬ সাল থেকে বামফ্রন্ট ক্রাচে ভর করা শুরু করল। আর এবারে জোটের একদিকে বাজার অর্থনীতির প্রবক্তা কংগ্রেস, অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক আইএসএফ। এই দুই ক্রাচ সঙ্গে নিয়ে ঘোরাটা মানুষ পছন্দ করেননি। সেই কারণে মানুষ আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।‘
সিপিএম-এর প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘এই ক্রাচ ছেড়ে বামফ্রন্ট নিজের পায়ে চলুকে।‘ ফ্রন্টের এই শরিক নেতার স্পষ্ট ইঙ্গিত, আগামিদিনে জোটে প্রবল অনাস্থা রয়েছে তাদের। এখনই বামফ্রন্ট থেকে বের হচ্ছে না ফরওয়ার্ড ব্লক। তবে জোটের ভবিষ্যক নিয়ে তাদের আগামিদিনে ভাবতেই হবে।
আগামি নির্বাচনে সিপিএম জোট থেকে মুখ ফেরালে ভোট ময়দানে বামফ্রন্ট শক্তিশালী হবে। এমনটাই ফরওয়ার্ড ব্লক অন্দরে গুঞ্জন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আইএসএফ নিয়ে সিপিএমের অন্দরে জল্পনার শেষ নেই। গত ২৯ মে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বহু সিপিএম নেতাই আইএসএফ-এর সঙ্গে জোটের প্রশ্নে কাঠগড়ায় তোলে আলিমুদ্দিন তথা দলের রাজ্য কমিটিকে। অধিকাংশ নেতাই মনে করছেন, সিপিএম-এর ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজে দাগ লেগেছে আইএসএফ এর জন্যই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন