সিপিএমের বিরুদ্ধে মুসলিম মেয়েদের অন্য সম্প্রদায়ে বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন কেরলের এক বিশিষ্ট মুসলিম নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেরলে সিপিএম এমনভাবে প্রচার চালাচ্ছে যাতে শাসক দল এবং দলের যুব আর ছাত্র শাখার সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের 'অপহরণ করা হয় এবং অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।' কোঝিকোডে এক সভায় বক্তৃতার সময়, সুন্নি যুবজানা সংঘামের সেক্রেটারি নাসার ফাইজি কুদাথাই, সিপিএমের 'ধর্মনিরপেক্ষতার কৌশল' সম্পর্কে সতর্ক থাকতে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন?
কুদাথাই বলেছেন যে কিছু লোকের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে একজন হিন্দু একজন মুসলিমকে বিয়ে করা। কুদাথাই বলেন, 'সম্প্রতি আমরা আন্তঃধর্মীয় বিবাহ প্রচারের জন্য নীতিহীন রাজনৈতিক কৌশল দেখেছি। সংবিধান অনুমতি দেয় যে একজন মুসলমান একজন মুসলমানকে বিয়ে করবে এবং হিন্দুকে হিন্দু বিয়ে করতে হবে। কিন্তু, কিছু লোকের কুটিল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা মনে করে যে ভারতীয় সংস্কৃতি তখনই প্রচারিত হতে পারে, যখন একজন হিন্দু একজন মুসলমানকে বিয়ে করে। পার্টি অফিস, সংবাদপত্র অফিস, সিপিএম, ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই-এর নেতৃবৃন্দের সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে এবং তাদের অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অধার্মিক কাজের বিরুদ্ধে মহল্লু (মসজিদ) কমিটিগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন- পিতা প্রণবের স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন কন্যা শর্মিষ্ঠা, ঘুরিয়ে সনিয়া-রাহুলের নেতৃত্বকেই খোঁচা?
এই প্রথম সুন্নি মুসলিম ধর্মগুরুদের প্রভাবশালী সংগঠনের একজন নেতা সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তঃধর্মীয় বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন। এর আগেই সিপিএমের বিরুদ্ধে কেরলে হিন্দু এবং খ্রিস্টান সংগঠনগুলো মুসলমানদের 'লাভ জিহাদে' সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান সংগঠনগুলো এই অভিযোগে রীতিমতো পথে নেমে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছে সংঘ পরিবারও।