রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভোট গিয়েছে বিজেপির ঘরে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কেরালার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ এপি আবদুল্লাকুট্টি। ধর্মনিরপেক্ষ ভোট ভাগাভাগি করতে প্রকাশ কারাট লবিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বলা বাহুল্য, এই ঘোষণার ফলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা। একটি ফেসবুক পোস্টে এই প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ দাবি করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভোট ভাগাভাগির জন্য বিজেপির কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা নিয়েছে কারাট লবি। লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়াবাহিনীর সঙ্গে সিপিএমের এই 'গোপন আঁতাত' নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ফেসবুকে আবদুল্লাকুট্টির দাবি, রাজস্থানে সিপিএমের প্রায় চার লক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ ভোট বিজেপির ঘরে গিয়েছে। যার জেরে তিনটি কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেছে গেরুয়াবাহিনী। আবদুল্লাকুট্টির ফেসবুক পোস্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পিলিবাঙ্গা কেন্দ্রে ২৭৮ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়েছেন বিজেপি-র ধর্মেন্দ্র কুমার। এই কেন্দ্রেও ভোট ভাগাভাগি হয়েছে। ওই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ২,৬৫৯ ধর্মনিরপেক্ষ ভোট।
আরও পড়ুন, মরুরাজ্যে খরা কাটিয়ে লালফুলের জোড়া
বর্তমান কংগ্রেস নেতা এও বলেছেন, এই ভোটাভুটির অঙ্কের কথা তিনি তাঁর এক "পুরনো কমরেড বন্ধুর" কাছে শুনেছেন। রাজস্থানে বিজেপি প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে সাহায্য করেছে সিপিএম। আবদুল্লাকুট্টির দাবি, ওই সংখ্যক ধর্মনিরপেক্ষ ভোট কংগ্রেসের হাতে থাকার কথা। ভোট ভাগাভাগি নিয়ে দলের অন্দরে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ।
উল্লেখ্য, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০০৯ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন আবদুল্লাকুট্টি। এরপরই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান। কংগ্রেসের টিকিটেই কান্নুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন আবদুল্লাকুট্টি। এরপর ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কান্নুর কেন্দ্রে জয়ের ধারা বজায় রাখেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য ছবিটা বদলায়। সেবারের ভোটে কান্নুরের বদলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন থালাসেরি কেন্দ্র থেকে। যেখানে সিপিএম প্রার্থী এ এন শামসের কাছে হার মানেন তিনি।
Read the full story in English