আজ থেকে হায়দরাবাদে শুরু কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। ২ দিন ধরে চলা এই বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে কংগ্রেসের লক্ষ্য আসন্ন তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তার রণকৌশলে বাজিমাত করার।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সভাপতিত্বে আজ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বৈঠকে পাঁচটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত দলের কৌশল এবং সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বৈঠকে অংশ নিতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন দলের সব শীর্ষ নেতারা। বৈঠক শেষে তেলেঙ্গানা নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শনিবার দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। বৈঠযে ৮৪ জন নেতা অংশ নেবেন।
ভেনুগোপাল বলেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তেলেঙ্গানাকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্যে পরিণত করেছেন। আরও বলেন, তেলেঙ্গানার বিআরএস সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একই কয়েনের দুই পিঠ। উভয়ই সাংবিধানিক ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করে চলেছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক জয় রাম রমেশ আরও বলেছেন যে মোদী সরকার এবং বিআরএস সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, সরকার এবার কংগ্রেসই তৈরি করবে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে, কংগ্রেসের সমস্ত শীর্ষ নেতারা তেলেঙ্গানার ১১৯টি বিধানসভা আসন পরিদর্শন করবেন। একই সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের হাইকমাণ্ড।
একই সঙ্গে শুক্রবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সংবিধানকে শ্বাসরোধ করে গণতন্ত্রের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চলছে। যার কারণে কারণে আজ গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। X-এ একটি পোস্টে, তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রের নীতি রক্ষা করার জন্য একটি সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর লাইন উদ্ধৃত করে তিনি লিখেছেন যে ‘গণতন্ত্র মানে সহনশীলতা’। ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের আগে এই মন্তব্য করেছেন খাড়গে। বিরোধীদের সংসদে কথা বলতে না দেওয়ায় কংগ্রেস এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছিল।