দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আবহেই শুক্রবার রাত থেকে কার্যকর হল নয়া নাগরিকত্ব আইন। শনিবার সিএএ ইস্যুতে ডাকা বৈঠক থেকে নয়া আইন 'ফিরিয়ে নেওয়ার' ডাক দিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির এই বৈঠকে সোনিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা-সহ প্রমুখেরা। প্রসঙ্গত, দলের কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির তরফে বলা হয়েছে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটির ভয়াবহতা দেশকে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের দিকে চালিত করেছে। জামিয়া মিলিয়া এবং জেএনইউ হামলা প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বলে, ছাত্র এবং যুবসমাজের কন্ঠ রোধ করতে চেয়েছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘ছোটরা পারলেও বড়রা বুঝতে অপারগ’, সিএএ প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, " সিএএ সংবিধানের বৈধতা এবং রাজনৈতিক নৈতিকতাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সিএএ এবং প্রস্তাবিত এনআরসি দেশে বিশেষত ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু, উপজাতি, দরিদ্র এবং সমাজের দুর্বল অংশগুলির মধ্যে ভয় ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি করেছে।" ওয়ার্কিং কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, "নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত এবং এনপিআর প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত।"
দিল্লির জওহরলাল নেহরু এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে বৈঠকে কংগ্রেস বলে, "মোদী সরকার নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করে দেশের যুবসমাজ এবং শিক্ষার্থীদের কন্ঠকে দমিয়ে রাখতে চাইছে। সরকারের প্রতি দেশের যুবসমাজের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিজেপি। লাঠিচার্য, গ্রেফতার, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো, পরিকল্পিত আক্রমণ করে প্রতিবাদী যুবদের দমন করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে পড়ানো হোক সংবিধানের প্রস্তাবনা, মমতাকে চিঠি এসএফআইয়ের
শনিবার সিএএ বিরোধী বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী বলেন যে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর)-এর মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক (এনআরসি) বাস্তবায়নের একটি প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আসামে এনআরসি-এর বিপর্যয়ের ফলে সরকার এবার এনপিআর করার ভাবনা নিয়ে এসেছে।" এদিনের বৈঠক থেকেই দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে রাজীব-জায়া বলেন, "আমরা যেন কোনও এনপিআর এবং এনআরসি বিভ্রান্তির মধ্যে যেন না জড়িয়ে পড়ি।"
Read the full story in English