'স্বাধীন ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় ধ্বংসলীলা', দিল্লিতে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে বিজেপিকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। বিজেপি শাসিত দিল্লি পুরনিগম রাজধানীর ৬৩ লক্ষ জনগণের উপরে বুলডোজার চালাতে চাইছে বলে সুর চড়িয়েছেন কেজরি। পুরনিগম 'গুণ্ডাগিরি' চালাচ্ছে বলেও তোপ আপ সুপ্রিমোর। দিল্লি পুরনিগমের এই দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে সব আপ বিধায়ককে রুখে দাঁড়ানোর ডাক কেজরিওয়ালের।
বিজেপি শাসিত দিল্লি পুরনিগম দখলদার উচ্ছেদে লাগাতার অভিযান জারি রেখেছে। রাজধানী জুড়ে চলছে এই অভিযান। গত কয়েকদিনে জাহাঙ্গিরপুরী থেকে শুরু করে মদনপুর খাদার, ধীরসেন মার্গ, রোহিনী, করোল বাগ-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চলেছে। বেআইনি দখলদার সরাতেই এই অভিযোগ বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, দখলদার উচ্ছেদের নামে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তিকেই নিশানা করছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
দিল্লিতে উচ্ছেদের নামে কার্যত তাণ্ডব চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এর আগে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, দখলদার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। এবার সরব খোদ কেজরিওয়াল।
তিনি এদিন বলেন, ''গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন পুরনিগম বুলডোজার চালাচ্ছে। এই অভিযান পরবর্তী মাসগুলিতেও জারি থাকবে বলে জানানো হচ্ছে। দিল্লিতে দখল করে রাখা জায়গা ও অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। দখলদারির বিরুদ্ধে আমরাও। আমরাও অবৈধ নির্মাণ চাই না।''
আরও পড়ুন- কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী খুন, দাপুটে এই তৃণমূল বিধায়ককে CBI তলব
কেজরিওয়ালের দাবি, গত ৭৫ বছরে দিল্লি গড়ে ওঠার পিছনে পরিকল্পনার অভাব ছিল। তাঁর কথায়, ''পরিকল্পনার অভাব ছিল বলেই দিল্লির ৮০ শতাংশ এলাকা অবৈধ নির্মাণ-তালিকায় চলে আসবে। তাহলে কি দিল্লির ৮০ শতাংশ এলাকার নির্মাণই ভেঙে ফেলা হবে?''
দিল্লিতে দখলদার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে এবার দলের বিধায়কদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক আপ প্রধানের। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে আপ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন কেজরিওয়াল। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমি তাঁদের বলেছি জেলে যেতে হলেও ভয় পাবেন না। জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। এভাবে বুলডোজার চালানো ঠিক নয়। দাদাগিরি, গুন্ডাগারি চলবে না। ক্ষমতার অপব্যবহার করা ঠিক নয়।''
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে বিজেপি পুরনিগম শাসন করেছে। গত ১৫ বছরে তারা আরও অবৈধ দখলদারি বসতে দিয়েছে। এসবের জন্য তারা টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এখন তাদের মেয়াদ শেষের মাত্র দু'দিন বাকি। এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতা কি তাদের আছে?''
Read full story in English