অর্থের বিনিময়ে জঙ্গিদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন কাশ্মীরের ডিএসপি দভিন্দর সিং। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি এবং আরএসএসকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ধৃত ডিএসপি দভিন্দর সিং যদি শিখ না হয়ে মুসলিম হতেন, তাহলে কী হতো? এত বড় মাপের একজন পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনার ফের তদন্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি, যেহেতু পুলওয়ামা কাণ্ডের সময় সেখানেই কর্মরত ছিলেন দভিন্দর।
মঙ্গলবার একটি টুইটে লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী লেখেন, "দভিন্দর সিংয়ের বদলে ওই ডিএসপি র নাম যদি দভিন্দর খান হতো, তাহলে রাষ্ট্রীয় আরএসএসের ট্রোল বাহিনীর আক্রমণ আরও তীব্র ও জবরদস্ত হতো। দেশের শত্রুদের নিন্দে হওয়া উচিত বর্ণ, জাতি, এবং ধর্ম নির্বিশেষে।"
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গাড়িতে পুলিশের শীর্ষকর্তা, কে এই দভিন্দর সিং?
অন্য আরেকটি টুইটে অধীর চৌধুরী পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনার পুনরায় তদন্তের দাবি তোলেন। তাঁর কথায়, "এত উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ আধিকারিকের জঙ্গি যোগ নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই পুলওয়ামাতে হওয়া জঙ্গি হামলার তদন্ত নতুন করে করা উচিত।" এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "দভিন্দর সিংয়ের গ্রেফতারির পর বেশ কয়েকটি নতুন প্রশ্ন উঠছে। তাহলে পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার সময় সিকিউরিটি ইনচার্জ কে ছিলেন? সংসদে হামলার সঙ্গেও কি যোগ ছিল কাশ্মীরের ধৃত ওই ডিএসপির? এই বিষয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কী ভাবছেন, সেটাও আমরা জানতে চাই।"
দভিন্দর সিং
২০০১ সালে সংসদ হামলার চক্রীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাশ্মীরের ডিএসপি দভিন্দর সিংয়ের নাম উঠে আসে। শুধু এই ঘটনাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই জঙ্গিদের সাহায্য করেছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। রবিবার গোটা একটা দিন নীরব থাকার পর সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ স্বীকার করে নেয়, শীর্ষ হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ নভীদ মুশতাক এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে একটি প্রাইভেট গাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের একটি চেকপোস্ট থেকে গ্রেফতার হন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সম্মানিত অফিসার দভিন্দর সিং। ধৃত অফিসার শ্রীনগর বিমানবন্দরে হাইজ্যাকিং প্রতিরোধ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
Read the full story in English