দু’দিনের সফরে মণিপুরে এসেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবারই মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসেন রাহুল। তাঁর সফরের মাঝেই নতুন করে অশান্তির ঘটনা ঘটল মণিপুরে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং জানিয়েছেন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একই কথা জানান মণিপুরের রাজ্যপালও। কিন্তু গতকাল রাহুলের সফরের মাঝে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় প্রাণ গেল আরও ২ জনের।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফরের আজ দ্বিতীয় দিন। এই সময়ে, তিনি আজ মেইতি সম্প্রদায়ের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করবেন, এরপর তিনি ইম্ফল ফিরে আসবেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন রাহুল। গতকাল রাহুল গান্ধী চুরাচাঁদপুরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সঙ্গে সাথে দেখা করেন। পুলিশ রাহুলের কনভয় আটকালে বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে করে সেখানে পৌঁছান তিনি। এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “উত্তর-পূর্ব রাজ্যের দুঃখজনক পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক লাভের চেষ্টা করা উচিত নয়”।
শুক্রবার সকালে মইরাং পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করবেন। এরপর ইম্ফল ফিরে আসবেন রাহুল গান্ধী। তিনি ইম্ফলের হোটেলে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, ১০ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন।
এদিকে মণিপুর সফরে এসে রাহুল গান্ধীকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমি মণিপুরের সব ভাই-বোনদের কথা শুনতে এসেছি। সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে সরকার আমাকে বাধা দিচ্ছে। মণিপুরের মানুষদের চিকিৎসা দরকার। শান্তি আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার হওয়া উচিত’।
অন্যদিকে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খড়গে টুইট করে লিখেছেন, 'রাহুল গান্ধীকে মণিপুরের জনগণের কাছে পৌঁছাতে বাঁধা দিতে ডবল ইঞ্জিন সরকার স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিপন্থী। রাহুল সেখানে যাচ্ছেন ত্রাণ শিবিরে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ও তাদের সান্ত্বনা দিতে’।