অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী অঙ্কিতা দত্ত সংগঠনের জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি-র বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এর কয়েকদিনের মাথায় অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি) 'দলবিরোধী কার্যকলাপের' অভিযোগে অঙ্কিতাকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেছে। কংগ্রেসের তরফে বিবৃতীতে উল্লেখ, 'অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মাননীয় ডাঃ অঙ্কিতা দত্তকে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাংগঠনিক পদ থেকে সরানো হল। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হল।'
অঙ্কিতার অভিযোগ ছিল, শ্রীনিবাস অনবরত তাঁকে হেনস্থা করেছেন। লিঙ্গের ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে ভেদাভেদ করেছেন। এদিকে শ্রীনিবাস ঘনিষ্ঠ বর্ধন যাদবও তাঁর সঙ্গে অনবরত খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ অঙ্কিতার। অসম যুব কংগ্রেসে লবিবাজি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অঙ্কিতার আরও অভিযোগ, তিনি দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে একাধিকবার এই হেনস্থার কথা জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের অন্য়ান্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানালেও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন অঙ্কিতা। জানিয়েছিলেন যে, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় জম্মুতেও বিষয়টি রাহুলের কানে তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'আমি একজন মহিলা নেত্রী। আমাকেই যদি এহেন হেনস্থার শিকার হতে হয়, তাহলে আমি বাকি মহিলাদের কীভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব?'
দলের প্রদেশ মহিলা নেত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগের পরই যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি অঙ্কিতা দত্তকে আইনি নোটিস পাঠান এবং সর্বসমক্ষে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার উচিত বলে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত সেই অঙ্কিতাকেই বহিষ্কার করল কংগ্রেস।
অসমের কংগ্রেসী রাজনীতিতে দত্ত পরিবারের গুরুত্ব রয়েছে। এই পরিবার চিরকালই গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অঙ্কিতার ঠাকুরদা ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তরুণ গগৈর মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন অঙ্কিতার বাবা অঞ্জন দত্ত।অঙ্কিতার বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, 'এটিই কংগ্রেসের নারী ক্ষমতায়নের মডেল।'