Advertisment

মৃত্যু হল খয়রাশোলের জখম তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, জেলায় মাটি না পেয়ে বিজেপি ভিন রাজ্য থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতি এনে এই খুন করিয়েছে, তারা সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে রাজ্যে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মৃত্যুর আগে জখম দীপক ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল বীরভূমের খয়রাশোলের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির ওপর অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা প্রাণঘাতী হামলা চালায় রবিবার দুপুরে। চলে এলোপাথারি গুলি। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয় তাঁকে।

Advertisment

রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মারাত্মক জখম দীপক ঘোষকে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, জেলায় মাটি না পেয়ে বিজেপি ভিন রাজ্য থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতি এনে এই খুন করিয়েছে, তারা সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে রাজ্যে। তবে এই ঘটনায় বিজেপি যোগের কথা অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির দাবি, কয়লা ও বালির ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই গন্ডগোল। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই আক্রান্ত হয়েছেন দীপক।

২০১৩ সালে দীপকবাবুর দাদা অশোক ঘোষও দুস্কৃতীদের আক্রমনে মারা গিয়েছেন। একই ভাবে মৃত্য়ু হয়েছে খয়রাশোলের তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্য়ায়ের। খুনের মামলায় অভিযুক্ত দীপক ঘোষ গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এর আগেও তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। ফের দুস্কৃতীদের আক্রমনে মৃত্য়ু হল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষের। মৃ্ত্য়ুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে খয়রাশোল এলাকায়।

রবিবার দুপুর ২ টা ১০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। দীপকের সঙ্গী নির্মল মন্ডল জানান, দীপকদার বাড়ি থেকে বাইকে করে কেন্দুয়া যাচ্ছিলাম। সেখানে ফুটবল ম্য়াচ ছিল। পথে প্রথমে একটা বাইক পার হতেই দেখি তার পিছনে দুটি বাইক। ওরা চারপাঁচজন ছিল। হঠাৎ করেই এলোপাথারী গুলি ছুড়তে শুর করে। ভোজালি দিয়েও কোপায়। উল্লেখ্য়, এত বড় হামলা হলেও এই নির্মল মন্ডলের গায়ে কোনও আঘাত লাগেনি। তিনি নাকি ওই দুল্কৃতীদের চিনতেও পারেননি। পুলিশ এই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে।

তবে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তির সময় দীপক ঘোষের অবস্থা যে অত্য়ন্ত সঙ্কটজনক ছিল, তা জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের ডেপুটি মেডিক্য়াল সুপারিন্টেন্ড ডা. দেবাশিস ঘোষ। তিনি বলেন, সাড়ে চারটের সময় ভর্তি তাঁকে করা হয়। তার শরীরে চার জায়গায় বুলেটের আঘাত ছিল। গালের মধ্য়েও একটা আঘাত রয়েছে। ওটা স্টিচ করে নিয়ে এসেছে। বাদিকে কোমরের নীচে, বাদিকে গলার কাছে, বাদিকে কাঁধের মাঝে আর ডান দিকে থাইয়ের মাঝে আঘাত রয়েছে। খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে।’’

দেবাশিসবাবু জানান, এতটাই রক্তপাত হয় যে শ্বাসনালীর ভিতরে রক্ত চলে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্য়া দেখা দেয়। তাই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হাসপাতালে আসার সময় একবার কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্ট হয়েছে। জিভের অর্ধেক অংশ নেই। সেখান থেকে মারাত্মক রক্তপাত ঘটেছে। আমরা তিনটে বুলেট দেখতে পেয়েছি। সোমবার দুপুরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, দুপুর ১টা ৯ মিনিট নাগাদ মারা গিয়েছে দীপক ঘোষ। ভর্তির সময়ই তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। এদিন মাল্টি অর্গান ফেল করে।  

tmc anubrata mondal
Advertisment