বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে চার বছরেই অবস্থান বদল করলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায়। দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থেই এই জোট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন তিনি। ২০১৬ সালে জোট ঘিরে রাজ্যবাসীর মনে বিভ্রান্তি ছিল বলে মনে করেন হাত শিবিরের এই নেতা। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জোটের কারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়।
অবস্থান বদল। এবার বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সওয়াল হাত শিবিরের দেবপ্রসাদ রায়ের.. pic.twitter.com/SunFpF4zRx
— indianexpress bangla (@iebengali) January 12, 2020
রাজ্যে সংগঠন বাড়িয়েছে বিজেপি। লোকসভায় উত্তরবঙ্গের সবকটি আসনই দখল করেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে দেশব্য়াপী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে মানুষের। এই প্রক্ষিতে ভারতের সংবিধান বিপন্ন বলে দাবি বাম-কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুননির্বাচনে জোট গড়ে ভোটে লড়েছে এই দুই দল। আগামীতেও বিজেপি ও তৃণমূলকে প্রতিরোধে একজোট হয়েই তারা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার প্রদেশ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত আলিপুর দুয়ারের কংগ্রেস নেতা মিঠুবাবু।
আরও পড়ুন: ‘প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে আরএসএসের’, বিস্ফোরক শুভেন্দু
'শিলিগুড়ি মডেল' অনুসরণ করে ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধিতা করেছিলেন দেবপ্রসাদ রায়। ইস্তফা দিয়েছিলেন দলীয় পদ থেকে। সেই সময় অবশ্য তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। দলের অন্দরেও বহু নেতা, কর্মী জোটের বিরোধিতা করেছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে সেবার অবশ্য ভোটে লড়েননি মিঠুবাবু। জোটের প্রতিবাদ করে দলের অভ্যন্তরেও ব্যাক ফুটে চলে যান কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংদ। তারপর আর সেভাবে তাঁকে বাংলার রাজনীতিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘ছোটরা পারলেও বড়রা বুঝতে অপারগ’, সিএএ প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
জোট নিয়ে তাঁর অবস্থান বদল প্রসঙ্গে দেবপ্রসাদ রায় বলেন, ' বিজেপি সিএএ-এনআরসি করে জাতপাতের বিভেদ ঘটিয়ে দেশের মানুষকে বিপদে ফেলতে চাইছে। তাই এবারের লড়াই গনতন্ত্র রক্ষার লড়াই। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার লড়াই। এবার লড়াই বৃহত্তর পরিষরে।' সেবার কর্মীদের মনোভাবকে তুলে ধরা হয়েছিল। বর্তমানে কী কর্মীদের মনোভাবে বদল এসেছে? কংগ্রেস নেতার কথায়, 'কর্মীদের বোঝাবার ফলে ৮ তারিখের ভারত বনধে আমরা সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছি। সাধারন মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাই এবার আমি সিপিএমের সাথে জোটের পক্ষেই মত দিলাম।