দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। দিল্লিতে জনতার রায়ে নির্বাচিত আপ সরকারের ক্ষমতা খর্ব করতে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেই ব্যাপারেই বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেসকে পাশে চান কেজরিওয়াল। কিন্তু, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে আপের সঙ্গে যৌথ লড়াইয়ে যেতে চায় না কংগ্রেস।
রীতিমতো সাবধানতা অবলম্বন করে দলের পঞ্জাব ও দিল্লির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তাঁরা দিল্লি ও পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতাদের থেকে মতামত চেয়েছিলেন। প্রশ্ন ছিল, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই বিপদে আম আদমি পার্টিকে সাহায্য করা উচিত হবে কি না? কিন্তু, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের দিল্লি ও পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতারা একবাক্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে আপের সঙ্গে যাওয়ার অর্থই হল দলের কারণ মরণফাঁদ।
দিল্লি ও পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি শক্তিশালী। দুই রাজ্যেই আপ ক্ষমতায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে কংগ্রেসকে। শুধু তাই নয়, একটা সময় কংগ্রেসের অধীনে ছিল দিল্লি ও পঞ্জাব। তাদের থেকেই আপ ওই দুই রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতে গিয়ে আপের সঙ্গে হাত মেলানোর অর্থই হল কংগ্রেসের সাড়ে সর্বনাশ। কারণ, তাতে আপের বিরুদ্ধে দিল্লি ও পঞ্জাবে কংগ্রেসের লড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কংগ্রেসের ওই দুই রাজ্যের কর্মীরা, যাঁরা এতদিন ধরে আপের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা হতদ্যোম হয়ে পড়বেন। ফলে, দিল্লি ও পঞ্জাবে বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- আগামী বছর জনতার রায়, একবছর আগে খতিয়ে দেখা, কতটা সফল মোদী সরকার
এই পরিস্থিতিতে তাই স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে আপের বিরুদ্ধে চাপ বজায় রাখতেই দলের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধ করেছেন দিল্লি ও পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। হাইকমান্ডের তরফে দিল্লি ও পঞ্জাবের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ছাড়াও ছিলেন এআইসিসির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল।