দল হারছে তবুও ‘স্বস্তি’তে কংগ্রেস শিবির! কারণ বিজেপি পরাজিত। দিল্লি ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন বাংলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের হার ‘অস্বাভাবিক’ নয় বলেই মন্তব্য করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। অন্যদিকে, বিজেপির ভরাডুবি দেখে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপিকে কার্যত তুলে আছাড় মারল দিল্লির মানুষ’’।
দিল্লিতে বিজেপির পরাজয় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপির গর্জন আসলে ভয়ের আর্তনাদ। কার্যত বিজেপিকে তুলে আছাড় মারল দিল্লির মানুষ। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অলিগলি ঘিরে সভা করেছেন। সেই সভার পরও দিল্লির মানুষ বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতি মানেনি। ফ্যাসিস্ট বিজেপির পরাজয় ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। আমরা দিল্লির মানুষকে স্যালুট জানাচ্ছি’’।
আরও পড়ুন: বিজেপি ভোকাট্টা, শেষ কলস ডোবাবে একুশের বাংলা: মমতা
দিল্লি ভোটের ফলে দলের ভরাডুবিতে ‘হতাশ’ না হয়ে বরং বিজেপির ধরাশায়ী অবস্থা দেখে ‘খুশি’ বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন অধীর বলেন, ‘‘আমরা সবসময় বলেছি, দু’পক্ষের লড়াই। কংগ্রেস অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াই করেছিল, সংগঠন দুর্বল ছিল, হেরেছে, অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি ও অসাম্প্রদায়িক শক্তির মধ্যে লড়াই হয়েছিল। উন্নয়নের এই জয় গোটা দেশের কাছে বড় বার্তা যাবে । বিজেপি দলের পরাজয় ভোগাবে’’।
বাংলার আরেক কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘বিজেপির পরাজয়, আপের উত্থান, আমাদের কোনও ক্ষতি নেই। সার্বিক দেশের পরিমণ্ডলে একটা ধর্মান্ধতার দলের হারে দেশের অখণ্ডতা অটুট থাকবে। আপের জয় নিঃসন্দেহে সঙ্গত ভারতের ভবিষ্যত গড়বে’’। উল্লেখ্য, দিল্লি ভোটে আবারও ক্ষমতায় ফিরছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। বিজেপি মাত্র কয়েকটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে এখনও কোনও খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন