জমি, পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাদে দিল্লির প্রশাসনিক সবধরণের ক্ষমতার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারেরই। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিল্লি সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত নির্দেশে জানিয়েছে যে, অন্যান্য দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই দিল্লির সরকার। ফলে দিল্লিতেও লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে সেখানকার নির্বাচিত সরকারের সব পরামর্শ মেনেই কাজ করতে হবে। এছাড়া, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার আমলাদের নিয়ন্ত্রণে যোগ্য। আমলাদের সরকারের কাছে জবাবদিহি না করতে দেওয়া হলে বিধানসভা এবং জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা কমে যেতে পারে। যা মারাত্মক হতে পারে।
কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দিল্লির শাসন ব্যবস্থার উপর আধিপত্য নিয়ে বহু দিন ধরেই কেন্দ্রীর সরকারের সঙ্গে বিরোধ ছিল কেজরিওয়াল সরকারের। ন্য়াশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি আইন সংশোধন করেছিল কেন্দ্র। এরপরই দিল্লির আপ সরকারনে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ স্পষ্ট করার আর্জি জানানো হয় দিল্লির সরকারের তরফে। গত জানুয়ারি থেকে সেই মামলার শুনানি করছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। সেই মামলার এই দিন রায় ঘোষণা হল। নির্দেশে উল্লেখ করা হয় যে, 'জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দিল্লি বিধানসভাকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দান করা হয়েছে।'
এর আগে বিচারপতি ভূষণ এই মামলার রায়ে জানিয়েছিলেন যে, দিল্লি সরকারের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। এদিন সুপ্রিম কোর্টের পাঁত বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় যে বিচারপতি ভূষণের এই বিভক্ত রায়ের সঙ্গে তাঁরা সহমত নয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই স্বস্তি আপ শিবিরে। দিল্লির আপ সরকার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ দিনের রায়কে 'যুগান্তকারী' বলে অভিহিত করেছে। আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা টুইটে লিখেছে, 'মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় একটি কড়া বার্তা। দিল্লি সরকারের সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তারা জনগণের সেবা করার জন্য। দিল্লির নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে এবং অনির্বাচিত দখলদারদের দ্বারা প্যারাসুট নয়।'