কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র সমন এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভইষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে স্থগিতাদেশ দিলেন না বিচারপতি। ফলে কয়ালাকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদকে ইডি-র সমনে কোনও বাধা রইল না। এই মামলায় সব পক্ষকে হলফনামা জমা করে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী সোমবার ফের রয়েছে মামলার শুনানি।
কেন ইডি-র সমনের উপর স্থগিতাদেশ চাইছেন সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? আগামী সোমবার হলফনামায় আদালতকে তা জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরাকে নারুলাকে।
চলতি মাসের ৬ তারিখ কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করে ইডি। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও ১লা সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কোভিডবিধির কথা জানিয়ে সেদিন ইডির দফতরে হাজিরা দেয়নি অভিষেক-জায়া। ফের তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- করোনা কড়াকড়ি জারি, অভিষেকের পদযাত্রায় অনুমতি দিল না ত্রিপুরা সরকার
তবে নির্দিষ্ট দিনেই ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রায় ৯ ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরদিনও তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু সেদিন আর যাননি তিনি।
এরপরই ইডি-র সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। অভিষেক তরফে বলা হয় যে, কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পরও সত্ত্বেও বার বার তাঁকে তলব করা হচ্ছে। এই মামলাটি কলকাতা। কেন তাহলে দিল্লিতে তলব করছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি, বেশ কয়েকটি রাজ্যের যোগ রয়েছে এই মামলার সঙ্গে। এ দিনই এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। সম্ভবত আগামী সোমবারই এই মামলায় আদালত নির্দেশ জারি করতে পারে।
রুজিরাকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও দুই সন্তানের মা কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে দিল্লি যেতে পারবেন না বলে আগেই জানান আদালতকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন