দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের জন্য ১,০০০ কম উচ্চতার বাস কেনার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। টেন্ডারিং এবং নিলামের যাবতীয় নিয়ম ভেঙে এই বাসগুলো কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জুলাই মাসে এনিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে।
এনিয়ে দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের কাছে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তার প্রেক্ষিতে দিল্লির মুখ্যসচিব আগস্টে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে তাঁর রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তের সুপারিশ সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের দ্বারা বাসের টেন্ডারিং এবং টেন্ডার সংগ্রহ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিবহণমন্ত্রী কৈলাশ গেহলটের নিয়োগ ছিল "পূর্বপরিকল্পিত"। আরও অভিযোগ যে, দরপত্রের জন্য ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে ডিআইএমটিএসের নিয়োগ এই "অন্যায়কে সহজতর করার" জন্যই করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৯ সালে ১,০০০টি কম উচ্চতার BS-IV এবং BS-VI বাসের জন্য দরপত্র, ২০২০ সালের মার্চে BS-VI বাসগুলো কেনা এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির জন্যও বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছিল। এনিয়ে ১৯ আগস্ট লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া মুখ্যসচিবের রিপোর্টেও কিছু "অনিয়ম"-এর উল্লেখ করা হয়েছে। যার অন্যতম, ডিআইএমটিএস এবং ডিটিসির টেন্ডার কমিটি টেন্ডারগুলোর সঠিকভাবে মূল্যায়নই করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল সম্পত্তি, কী পরিণতি হয় এই সম্পদের, জানুন বিস্তারিত
সিবিআই ইতিমধ্যেই এই বাসগুলো কেনা এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য চুক্তিগুলো নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত চালাচ্ছে। তার মধ্যেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর সাক্সেনা সিবিআইকে তদন্তের বিষয়বস্তুর সঙ্গে নতুন অভিযোগগুলো সংযুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছেন। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ওপি আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের আগস্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে "টেন্ডারিং এবং ক্রয় পদ্ধতিতে বিচ্যুতির জন্য" AAP সরকারকে অভিযুক্ত করেছিল।
সূত্রের খবর, “এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মচারীরা অপরাধমূলক এবং অসৎ আচরণ করেছিল। কারা এই সব অভিযোগে দুষ্ট, তা সিবিআই দেখবে। এর ভিত্তিতে, মুখ্যসচিব গোটা বিষয়টি সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেছিলেন। যাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনুমোদন দিয়েছেন।''
Read full story in English