হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির কথিত মদ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি-র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মিলল না কোন সুরক্ষা কবচ। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির উপর কোন স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে আদালত। দুসপ্তাহের মধ্যে ইডির কাছে জবাব চেয়েছে আদালত।
দিল্লি হাইকোর্ট ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বলেছে, "আমরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ দিতে পারি না।" এর আগে, কেজরিওয়াল আদালতকে বলেছিলেন, যে তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজির হতে প্রস্তুত, তবে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে তদন্তকারী সংস্থা তাকে গ্রেফতার করবে না। এই ক্ষেত্রে দিল্লি হাইকোর্টও ইডিকে উত্তর দিতে এবং একটি নতুন অন্তর্বর্তী পিটিশন দায়ের করতে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ এপ্রিল।
দিল্লি হাইকোর্টে ইডি-র নবম সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কেজরিওয়াল। ইডি ১৭ মার্চ কেজরিওয়ালের কাছে নবম সমন পাঠিয়েছিল। ১৯ মার্চ সমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন কেজরিওয়াল। তার আবেদনের শুনানি হয় ২০শে মার্চ। বারবার সমন পাঠানোর জন্য ইডিকেও তলব করেছিল আদালত।
উল্লেখ্য দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া মদ কেলেঙ্কারি মামলায় ইতিমধ্যে জেলবন্দী। অন্যদিকে AAP-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকেও গত বছর গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে মানি লন্ডারিং মামলায় আত্মসমর্পণ করতে বলেছে আদালত। চিকিৎসার জন্য জামিনে ছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন।